বিশ্বাসের প্রতিধ্বনি নিউজ ডেস্কঃ ইসরায়েল গাজামুখী ‘সুমুদ ফ্লোটিলা’ থেকে আটক হওয়া ১৩০ মানবাধিকার কর্মীকে জর্ডানে পাঠিয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) আলেনবি সেতু হয়ে তাদের দেশে প্রবেশের ব্যবস্থা করা হয় বলে জানিয়েছে জর্ডানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা পেট্রা।
জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে বাহরাইন, তিউনিসিয়া, আলজেরিয়া, ওমান, কুয়েত, লিবিয়া, পাকিস্তান, তুরস্ক, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, জাপান, মেক্সিকো, নিউজিল্যান্ড, সার্বিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও উরুগুয়ের নাগরিক রয়েছেন।
জর্ডানের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের সীমান্ত পারাপারের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করেছে বলেও পেট্রা জানিয়েছে।
গত সপ্তাহে ইসরায়েলি সেনারা গাজায় ত্রাণবাহী ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র ৪২টি নৌকা আটক করে এবং ৪৫০ জনের বেশি কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র সমালোচনা দেখা দেয়।
এর আগে ইসরায়েল ইতালি ও তুরস্কে কয়েক ডজন কর্মীকে ফেরত পাঠায়। সোমবার আরও ১৭১ জনকে ইউরোপের দুটি দেশে পাঠানোর পর মঙ্গলবার নতুন করে ১৩০ জনকে জর্ডানে পাঠানো হয়।
ফ্লোটিলার বেশ কয়েকজন কর্মী আটক অবস্থায় ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে অমানবিক আচরণের অভিযোগ তুলেছেন। সুইজারল্যান্ড ও স্পেনের কয়েকজন প্রতিনিধি জানিয়েছেন, তাদের পর্যাপ্ত খাবার-পানি দেওয়া হয়নি, ঘুমাতে দেওয়া হয়নি, এমনকি কেউ কেউ মারধরের শিকার হয়েছেন।
একটি সুইস সংগঠন জানিয়েছে, তাদের নয়জন প্রতিনিধি দেশে ফিরে জানান—কেউ খাঁচায় বন্দি ছিলেন, কেউ লাথি ও ঘুষির আঘাত পেয়েছেন। স্পেন ও সুইডেনের কর্মীরাও একই অভিযোগ করেছেন।
সুইডিশ প্রতিনিধিদের দাবি, জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গকেও ধাক্কা দিয়ে ইসরায়েলি পতাকা পরতে বাধ্য করা হয়েছিল। তবে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন।
Reporter Name 

























