ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ বলেছেন; একটি দেশকে উন্নতির পথে এগিয়ে নিতে হলে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের মধ্যে থাকতে হবে সততা, দায়িত্বশীলতা এবং দেশপ্রেম। এ তিনটি গুণ একজন মানুষের চরিত্র গঠনের মূল ভিত্তি এবং একটি জাতির অগ্রযাত্রার চালিকা শক্তি।
আজ ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘অক্টোবর-২০২৫ এর দপ্তর প্রধানদের নিয়ে সমন্বয় সভা’য় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সিনিয়র সচিব বলেন; স্বচ্ছ, দক্ষ, আধুনিক ও টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার এবং ভূমি সংক্রান্ত জনবান্ধব সেবা নিশ্চিত করা। বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ভূমি ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন করা। কৃষি জমি সুরক্ষা, পরিবেশ উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা ও দারিদ্র বিমোচনের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সাধন করা। অকৃষি জমির সুপরিকল্পিত ব্যবহার, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি হ্রাস এবং ভূমি সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ জনগোষ্ঠীর জন্য বাসোপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য সর্বোত্র নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে।
ভূমি সংস্কার বোর্ডের মহাপরিচালক জানান মাঠ পর্যায় ভূমি সংস্কার বোর্ডে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কার্যসম্পাদনের সুবিধার্থে মোটরসাইকেল সরবরাহের নিমিত্তে ৫৩ টি জেলা থেকে মোটর সাইকেলের চাহিদা পাওয়া গিয়েছে এখনও ১১ টি জেলা বাকি আছে। মোটরসাইকেল সরবরাহের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে জানান সভাপতি। সভাপতি ভূমি ভবনে অবস্থিত সকল দপ্তরের সমন্বয়ে একটি সমন্বিত লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠার গুরুত্বারোপ করে প্রত্যেক দপ্তর/সংস্থার আলাদা আলাদা লাইব্রেরীর পরিবর্তে একটি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী স্থাপন করার গুরুত্বারোপ করেন। বিভিন্ন দপ্তরের লোকবল নিয়োগে স্বচ্ছতা যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদানের জন্য সাধুবাদ জানান। এছাড়া ভূমি ভবনের বিভিন্ন কারিগরি রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহন এবং ভবনের ভিতরে ও বাহিরের সৌন্দর্য বর্ধন,নিরাপত্তা জোর দার করার নির্দেশনা দেন।
রাজউক পূর্বাচলের ১৭ টি মৌজার মধ্যে ১৬ টি মৌজায় এ প্রর্যন্ত ৫৭,৭৬৬ টি দাগের মধ্যে ৩৮,৮৮১ টি খতিয়ানের খানাপুরী বুঝরাত সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ৩২,৭৬৫ টি খতিয়ানের তসদিক সম্পন্ন হয়েছে। পাতিয়া মৌজায় কিস্তোয়ার সমাপ্ত এবং কেন্দুয়া মৌজায় কিস্তোয়ার চলমান রয়েছে। গণপূর্ত অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাকারী সংস্থা করে ৭ টি বিভাগীয় ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (এলএটিসি) অবকাঠামো নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়নের ইদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এলএটিসি ৭ সেপ্টেম্বর থেকে এপর্যন্ত ২৬০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে।
দেশপ্রেম এমন এক অনুভূতি, যা একজন নাগরিককে তার দেশের জনগণ,জন্মভূমির প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও দায়বদ্ধতায় আবদ্ধ করে। এটি এক গভীর দায়িত্ববোধ, যা মানুষকে দেশের কল্যাণে আত্মনিবেদিত হতে উদ্বুদ্ধ করে। সবার আগে দেশপ্রেম মানে নিজস্ব স্বার্থ, পদ, বা লাভের চেয়ে দেশের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া। একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক নাগরিক কখনো দুর্নীতি, অন্যায় বা দেশবিরোধী কাজে জড়ায় না। সে দেশের আইন মেনে চলে, নিজের কাজ সৎভাবে সম্পন্ন করে, সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে অবদান রাখে। দেশপ্রেম প্রকাশ পায় প্রতিদিনের ছোট ছোট কাজে নিজ দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করা, দেশের সম্পদ রক্ষা করা, পরিবেশ ও সংস্কৃতি সংরক্ষণ করা, এবং দেশের অগ্রগতিতে অবদান রাখা। বর্তমান প্রজন্মের উচিত দেশপ্রেমকে জীবনের মূলমন্ত্র হিসেবে গ্রহণ করাতে উদ্ভূত করতে হবে। প্রযুক্তি, শিক্ষা ও নৈতিকতার সমন্বয়ে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়াই হবে প্রকৃত দেশপ্রেমের পরিচায়ক বলেন; সিনিয়র সচিব সালেহ আহমেদ।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান একেএম সালাহউদ্দিন নাগরী; ভূমি আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব), ড. মাহমুদ হাসান; ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১), মো: সাইদুর রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিববৃন্দ।
বিশ্বাসের প্রতিধ্বনি নিউজ ডেস্কঃ 






















