5:49 am, Wednesday, 12 November 2025

লাশ পোড়ানোর বর্বরতা নজিরবিহীন: চিফ প্রসিকিউটর

  • Reporter Name
  • Update Time : 10:54:58 am, Sunday, 14 September 2025
  • 37 Time View

নিউজ ডেস্কঃ চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা চাই, এই বিচার জাতির ইতিহাসে চিরস্মরণীয় এক অধ্যায় হিসেবে অম্লান হয়ে থাকুক। বাংলাদেশে এমন এক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকুক, যাতে ভবিষ্যতে কেউ মানবতাবিরোধী অপরাধ করতে না পারে। এই বিচার কেবল একটি মামলার নিষ্পত্তি নয়, এটি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি শক্ত বার্তা যে আমরা আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারে বিশ্বাসী। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়, সে যত শক্তিশালী হোক না কেন। এই বিচার হবে একটি ইতিহাস। এটি হবে সেই সব মানুষের আত্মত্যাগের সম্মাননা, যাঁরা ন্যায়বিচারের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। এই ট্রাইব্যুনাল প্রমাণ করবে, বাংলাদেশ একটি ন্যায়ভিত্তিক, মানবিক এবং আইনের শাসনের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ রাষ্ট্র।’

জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় ছয়জনকে পোড়ানোর ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আজ রোববার বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ এই সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়। পরে আগামীকাল সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে এই মামলায় বিচার শুরু হবে।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘হত্যা ও জখম-সম্পর্কিত যেসব উপাদান প্রসিকিউশন উপস্থাপন করবে, সেগুলো দিবালোকের মতো স্পষ্ট, স্বচ্ছ এবং অকাট্য প্রমাণ; যার ভিত্তিতে এই ট্রাইব্যুনাল ন্যায়সংগত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সক্ষম হবেন। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীবিশেষের বিরুদ্ধে আমাদের কোনো ক্ষোভ নেই। আমরা অপরাধের বিচারের জন্য এসেছি। আমাদের দৃঢ়বিশ্বাস, যেসব তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করতে যাচ্ছি, তা স্পষ্টভাবে দেখাবে—এই অপরাধগুলো ছিল পূর্বপরিকল্পিত, পদ্ধতিগতভাবে ও ব্যাপক সংগঠিত এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে পরিচালিত।

‘উদ্দেশ্য ছিল, সাধারণ মানুষের কণ্ঠ রোধ করা, ভয় সৃষ্টি করা এবং জনগণের ন্যায়সংগত অধিকার প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা দমন করা। এসব অপরাধ শুধু ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়; বরং একটি জাতির স্বপ্ন ও অস্তিত্বের ওপর আঘাত হেনেছে। অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, হাজারো পরিবার চিরতরে ভেঙে গেছে।’

চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আশুলিয়া থানা এলাকায় ২৯ জন নিরীহ নিরস্ত্র আন্দোলনকারীকে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে নৃশংসভাবে হত্যা করে এবং শিশুসহ বহু মানুষকে গুরুতর আহত করে। তদুপরি চরম অমানবিক ও নিষ্ঠুরতার পরিচয় দিয়ে পাঁচটি মৃতদেহসহ একজন জীবিত ও গুরুতর আহত ব্যক্তিকে পুলিশ ভ্যানে উঠিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেয়।

‘আসামিরা পুলিশের গাড়িতে ৬ জনের দেহ পুড়িয়ে এর দায়-দায়িত্ব ছাত্র-জনতার ওপর চাপানোর চেষ্টা ছিল মূল উদ্দেশ্য। আসামিরা (পুলিশ) তাঁদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে পদ্ধতিগতভাবে ও ব্যাপক রাষ্ট্রীয় মদদে আন্দোলনরত নিরস্ত্র ছাত্র ও সাধারণ জনগণের ওপর গণহারে গুলি চালিয়েছে। মরদেহ পোড়ানোর এই বর্বরতা শুধু বাংলাদেশ না, সারা দুনিয়ার ইতিহাসে নজিরবিহীন।’

চিফ প্রসিকিউটর সূচনা বক্তব্যে বলেন, ‘একটি সভ্য ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের পরিচয় নির্ধারিত হয় তার বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা, স্বচ্ছতা এবং মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধার মাধ্যমে। বাংলাদেশের ইতিহাসে জুলাই আন্দোলন ছিল এমন এক মুহূর্ত, যখন দেশের তরুণসমাজ শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের ন্যায্য দাবি ও অধিকারের পক্ষে রাস্তায় নেমেছিল। কিন্তু রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলো তাদের প্রতি ঝাঁপিয়ে পড়েছিল; যা ছিল আইন, সংবিধান এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।

‘এই প্রেক্ষাপটে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা কেবল আইনগত কর্তব্য নয়, এটি একটি নৈতিক ও ঐতিহাসিক দায়িত্ব। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে অঙ্গীকার করছি, এই বিচারিকপ্রক্রিয়ায় আসামিদের প্রাসঙ্গিক অধিকার এবং সুষ্ঠু বিচার প্রাপ্তির নিশ্চয়তা দেওয়া হবে। এই বিচার প্রতিহিংসা নয়, এটি ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা। এই ট্রাইব্যুনাল কেবল একটি অপরাধের বিচারের স্থান নয়; এটি হোক আমাদের গণতান্ত্রিক চেতনা, আইনের শাসন এবং মানবিক মূল্যবোধ রক্ষার প্রতি জাতির সম্মিলিত প্রতিজ্ঞার প্রতীক।’

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এই মামলা আমাদের দেশের আইন ও নৈতিকতার ইতিহাসে এক অনন্য এবং নজিরবিহীন ঘটনা, যেখানে যুদ্ধ বা বিশৃঙ্খলার সময় সংঘটিত অপরাধের পরিবর্তে এই অভিযোগগুলো দেশের গণতন্ত্রের মূল কেন্দ্রে ঘটে যাওয়া কঠোর ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে। এতে সাধারণ নাগরিক, বিশেষ করে ছাত্রসমাজ, শান্তিপূর্ণভাবে বৈষম্যহীন ও উন্নত ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়ে রাজপথে প্রতিবাদ জানিয়েছিল।’

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, এই বিচার কার্যক্রম পুরোনো রাজনৈতিক বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য নয়, বরং একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থার প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া। যার মাধ্যমে রাষ্ট্র একটি ন্যায়সংগত ও দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে থাকে। এটি প্রমাণ করে যে দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাবান ব্যক্তিকেও আইনসম্মত জবাবদিহির আওতায় আনা যেতে পারে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জনমনে আস্থা তৈরি হবে যে ন্যায়বিচার কোনো অবস্থাতেই পক্ষপাতদুষ্ট বা প্রভাবিত নয়। বরং সম্পূর্ণ স্বচ্ছ, দৃঢ়, নিরপেক্ষভাবে পরিচালিত হচ্ছে এবং অপরাধ করলে তাকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যত মামলা আছে তুলে নেওয়া হবেঃ মির্জা ফখরুল

লাশ পোড়ানোর বর্বরতা নজিরবিহীন: চিফ প্রসিকিউটর

Update Time : 10:54:58 am, Sunday, 14 September 2025

নিউজ ডেস্কঃ চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা চাই, এই বিচার জাতির ইতিহাসে চিরস্মরণীয় এক অধ্যায় হিসেবে অম্লান হয়ে থাকুক। বাংলাদেশে এমন এক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকুক, যাতে ভবিষ্যতে কেউ মানবতাবিরোধী অপরাধ করতে না পারে। এই বিচার কেবল একটি মামলার নিষ্পত্তি নয়, এটি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি শক্ত বার্তা যে আমরা আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারে বিশ্বাসী। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়, সে যত শক্তিশালী হোক না কেন। এই বিচার হবে একটি ইতিহাস। এটি হবে সেই সব মানুষের আত্মত্যাগের সম্মাননা, যাঁরা ন্যায়বিচারের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। এই ট্রাইব্যুনাল প্রমাণ করবে, বাংলাদেশ একটি ন্যায়ভিত্তিক, মানবিক এবং আইনের শাসনের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ রাষ্ট্র।’

জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় ছয়জনকে পোড়ানোর ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আজ রোববার বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ এই সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়। পরে আগামীকাল সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে এই মামলায় বিচার শুরু হবে।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘হত্যা ও জখম-সম্পর্কিত যেসব উপাদান প্রসিকিউশন উপস্থাপন করবে, সেগুলো দিবালোকের মতো স্পষ্ট, স্বচ্ছ এবং অকাট্য প্রমাণ; যার ভিত্তিতে এই ট্রাইব্যুনাল ন্যায়সংগত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সক্ষম হবেন। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীবিশেষের বিরুদ্ধে আমাদের কোনো ক্ষোভ নেই। আমরা অপরাধের বিচারের জন্য এসেছি। আমাদের দৃঢ়বিশ্বাস, যেসব তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করতে যাচ্ছি, তা স্পষ্টভাবে দেখাবে—এই অপরাধগুলো ছিল পূর্বপরিকল্পিত, পদ্ধতিগতভাবে ও ব্যাপক সংগঠিত এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে পরিচালিত।

‘উদ্দেশ্য ছিল, সাধারণ মানুষের কণ্ঠ রোধ করা, ভয় সৃষ্টি করা এবং জনগণের ন্যায়সংগত অধিকার প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা দমন করা। এসব অপরাধ শুধু ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়; বরং একটি জাতির স্বপ্ন ও অস্তিত্বের ওপর আঘাত হেনেছে। অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, হাজারো পরিবার চিরতরে ভেঙে গেছে।’

চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আশুলিয়া থানা এলাকায় ২৯ জন নিরীহ নিরস্ত্র আন্দোলনকারীকে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে নৃশংসভাবে হত্যা করে এবং শিশুসহ বহু মানুষকে গুরুতর আহত করে। তদুপরি চরম অমানবিক ও নিষ্ঠুরতার পরিচয় দিয়ে পাঁচটি মৃতদেহসহ একজন জীবিত ও গুরুতর আহত ব্যক্তিকে পুলিশ ভ্যানে উঠিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেয়।

‘আসামিরা পুলিশের গাড়িতে ৬ জনের দেহ পুড়িয়ে এর দায়-দায়িত্ব ছাত্র-জনতার ওপর চাপানোর চেষ্টা ছিল মূল উদ্দেশ্য। আসামিরা (পুলিশ) তাঁদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে পদ্ধতিগতভাবে ও ব্যাপক রাষ্ট্রীয় মদদে আন্দোলনরত নিরস্ত্র ছাত্র ও সাধারণ জনগণের ওপর গণহারে গুলি চালিয়েছে। মরদেহ পোড়ানোর এই বর্বরতা শুধু বাংলাদেশ না, সারা দুনিয়ার ইতিহাসে নজিরবিহীন।’

চিফ প্রসিকিউটর সূচনা বক্তব্যে বলেন, ‘একটি সভ্য ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের পরিচয় নির্ধারিত হয় তার বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা, স্বচ্ছতা এবং মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধার মাধ্যমে। বাংলাদেশের ইতিহাসে জুলাই আন্দোলন ছিল এমন এক মুহূর্ত, যখন দেশের তরুণসমাজ শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের ন্যায্য দাবি ও অধিকারের পক্ষে রাস্তায় নেমেছিল। কিন্তু রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলো তাদের প্রতি ঝাঁপিয়ে পড়েছিল; যা ছিল আইন, সংবিধান এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।

‘এই প্রেক্ষাপটে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা কেবল আইনগত কর্তব্য নয়, এটি একটি নৈতিক ও ঐতিহাসিক দায়িত্ব। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে অঙ্গীকার করছি, এই বিচারিকপ্রক্রিয়ায় আসামিদের প্রাসঙ্গিক অধিকার এবং সুষ্ঠু বিচার প্রাপ্তির নিশ্চয়তা দেওয়া হবে। এই বিচার প্রতিহিংসা নয়, এটি ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা। এই ট্রাইব্যুনাল কেবল একটি অপরাধের বিচারের স্থান নয়; এটি হোক আমাদের গণতান্ত্রিক চেতনা, আইনের শাসন এবং মানবিক মূল্যবোধ রক্ষার প্রতি জাতির সম্মিলিত প্রতিজ্ঞার প্রতীক।’

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এই মামলা আমাদের দেশের আইন ও নৈতিকতার ইতিহাসে এক অনন্য এবং নজিরবিহীন ঘটনা, যেখানে যুদ্ধ বা বিশৃঙ্খলার সময় সংঘটিত অপরাধের পরিবর্তে এই অভিযোগগুলো দেশের গণতন্ত্রের মূল কেন্দ্রে ঘটে যাওয়া কঠোর ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে। এতে সাধারণ নাগরিক, বিশেষ করে ছাত্রসমাজ, শান্তিপূর্ণভাবে বৈষম্যহীন ও উন্নত ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়ে রাজপথে প্রতিবাদ জানিয়েছিল।’

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, এই বিচার কার্যক্রম পুরোনো রাজনৈতিক বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য নয়, বরং একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থার প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া। যার মাধ্যমে রাষ্ট্র একটি ন্যায়সংগত ও দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে থাকে। এটি প্রমাণ করে যে দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাবান ব্যক্তিকেও আইনসম্মত জবাবদিহির আওতায় আনা যেতে পারে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জনমনে আস্থা তৈরি হবে যে ন্যায়বিচার কোনো অবস্থাতেই পক্ষপাতদুষ্ট বা প্রভাবিত নয়। বরং সম্পূর্ণ স্বচ্ছ, দৃঢ়, নিরপেক্ষভাবে পরিচালিত হচ্ছে এবং অপরাধ করলে তাকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।