তৃতীয় ও শেষ টি–টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৫ উইকেটে হেরে ধবলধোলাইয়ের অপমান বরণ করল বাংলাদেশ।
১৫১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ক্যারিবীয়রা ১৬.৫ ওভারেই জয় নিশ্চিত করে নেয়। সিরিজটি শেষ হলো ৩–০ ব্যবধানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে।
বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র উজ্জ্বল দিক ছিলেন তরুণ ওপেনার তানজিদ হাসান। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৬২ বলে ৮৯ রানের ইনিংস। কিন্তু এক প্রান্তে উইকেট পতনের মিছিল থামেনি সাইফ ২৩ রান করলেও অন্য কেউ দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি।
রোমারিও শেফার্ড ৩৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ক্যারিবীয়দের সেরা বোলার। তিনি শেষ দিকে হ্যাটট্রিকও সম্পন্ন করেন নুরুল, শরীফুল ও তানজিদকে টানা তিন বলে ফিরিয়ে।
বাংলাদেশের ইনিংস গড়পড়তায় ভালো সূচনা পেয়েছিল। ১৪ ওভার পর্যন্ত মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে রান ছিল ৯৯। কিন্তু শেষ ছয় ওভারে বাকি আট ব্যাটার ফিরেছেন প্যাভিলিয়নে। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে থামতে হয়েছে ১৫১ রানে।
জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শুরুতেই কিছুটা চাপে পড়লেও মাঝ ওভারে ঝড় তোলেন রোস্টন চেজ ও আকিম অগাস্টে। দুজনই করেছেন অর্ধশতক (চেজ ৫০, অগাস্টে ৫০)। ১৩ থেকে ১৫তম ওভার পর্যন্ত তিন ওভারে আসে ৫০ রান এই ঝড়েই ম্যাচ হাতছাড়া হয় বাংলাদেশের।
শেষ পর্যন্ত অধিনায়ক রোভমান পাওয়েলের এক রানেই ১৯ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় সফরকারীরা।
বাংলাদেশের পক্ষে রিশাদ হোসেন নিয়েছেন ৪ ওভারে ৩ উইকেট, মেহেদী হাসান পেয়েছেন ১ উইকেট।
তবে ফিল্ডিং ছিল হতাশাজনক কমপক্ষে তিনটি সহজ ক্যাচ ছেড়েছে দল। এমনকি ম্যাচ চলাকালে গোড়ালির চোটে মাঠ ছাড়তে হয়েছে নুরুল হাসানকে।
এ হারে তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ। প্রথম দুটি ম্যাচে তারা হেরেছিল যথাক্রমে ১৪ ও ১৬ রানে। চট্টগ্রামে শেষ ম্যাচে ব্যাটিংয়ের উন্নতি দেখা গেলেও সামগ্রিক ব্যর্থতা ম্লান করল সেই আলো।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৫১ (তানজিদ ৮৯, সাইফ ২৩; শেফার্ড ৩/৩৬, পিয়েরে ২/২৩)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৬.৫ ওভারে ১৫২/৫ (চেজ ৫০, অগাস্টে ৫০; রিশাদ ৩/৪৩)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ জয়ী ৫ উইকেটে (সিরিজ ৩–০)
বিশ্বাসের প্রতিধ্বনি নিউজ ডেস্ক 


















