2:30 pm, Friday, 14 November 2025

যুবলীগের উত্থান পতন!

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর যুব সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হয় শেখ ফজলুল হক মনি। শেখ মনি ছিলেন একজন দক্ষ সংগঠক, বিচক্ষণ রাজনীতিবীদ, লেখক, সাংবাদিক এবং মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মুজিব বাহিনীর প্রধান।

শেখ মনি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ভাগ্নে এবং বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত সহচর, তিনি পারিবারিকভাবে রাজনীতির জ্ঞান অর্জন করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত অবস্থায় ছাত্ররাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন, তিনি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬-এর ছয় দফা, ৬৯-এর গণ-আন্দোলনে ছিল তার সক্রিয় অংশগ্রহণ।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ছিল তার অসাধারণ ভূমিকা। জাতির কাছে তিনি স্মরণীয় মুজিববাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করা। গণমাধ্যমে ও রেখেছেন অবদান, দেশ স্বাধীন হবার পর দৈনিক বাংলার বাণী পত্রিকা সম্পাদনা করেন শেখ মনি। সাপ্তাহিক সিনেমারও সম্পাদক ছিলেন তিনি। ১৯৭৪ সালের ৭ জুন তার সম্পাদনায় দৈনিক বাংলাদেশ টাইমস প্রকাশিত হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান তার এই বহুমুখী প্রতিভার কারণে দেশের যুবসমাজকে নিয়ে ভাবতে ও কাজ করতে বলেন। তারই ধারাবাহিকতায় মূলত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার চার মূলনীতির ওপর ভিত্তি করে গণতন্ত্র, শোষণমুক্ত শ্রেণি সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধ করে, শিক্ষা, বেকারত্ব দূরীকরণ, দারিদ্র্য বিমোচন, আত্মনির্ভরশীল অর্থনীতি, কর্মসংস্থানের মাধ্যমে যুবকদের স্বাবলম্বী করার জন্য যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করা হয়। সেই লক্ষ্যে কাজ শুরু করেন শেখ মনি। ১৯৭৪ সালে প্রথম কংগ্রেসের মাধ্যমে নেতৃত্বে আসেন শেখ মনি।
কিন্তু দুঃখের বিষয় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দেশের ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কিছু ঘাতক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার আগে ঘাতকের দল প্রথম আক্রমণ করেন শেখ মনির উপর। শেখ মনি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনিকে হত্যা করে ঘাতক দল।
তারা জানতেন শেখ মনি জীবিত থাকলে ঘাতকেদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না, তাই তার পরিবারসহ তাকে হত্যা করে। অল্পের জন্য বেঁচে যান শিশু পুত্র শেখ ফজলে শামস পরশ ও শেখ ফজলে নূর তাপস।

বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দেশের রাজনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটতে থাকে, সারা দেশে তৈরি হয় অস্থিরতা।

এদিকে পাকিস্তানি ভাবধারার সরকার গঠন করে মোশতাক গং। মোশতাক জিয়া গংরা মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেয়া সেনাবাহিনীদের হত্যা এবং মামলা। চলে ক্যু পালটা ক্যু। দেশের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সব নেতা কর্মীদের মামলা দিয়ে নির্যাতন ও গ্রেফতার করে জেলে আটক রাখে।

এই অবস্থায় আওয়ামী যুবলীগকে সংঘটিত করার জন্য , আমির হোসেন আমু নেতৃত্বে ১৯৭৮ সালে দ্বিতীয় কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়।
দ্বিতীয় কংগ্রেসের মাধ্যমে আবার বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ সংগঠিত হয়ে, প্রস্তুতি নিতে থাকেন আন্দোলনের।
এদিকে জিয়া ও এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে অনেক যুবলীগের নেতাকর্মীরা নির্যাতন ও গ্রেফতার হয় ।১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা দেশে আসে সে সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের ঢল নামে শেখ হাসিনাকে দেখার জন্য, মানিক মিয়া এভিনিউতে বৃষ্টিতে ভিজে লক্ষ মানুষের উপস্থিতি।

১৯৮৬ সালে তৃতীয় কংগ্রেসে মোস্তফা মহসীন মন্টুকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়। তৃতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে শুরু করে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন, প্রথম থেকে সাহসী ভূমিকা পালন করে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের নেতাকর্মীরা। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে শহীদ হয় যুবলীগকর্মী নূর হোসেন । শহীদ নূর হোসেন নিজের জীবন দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ফিরে আনার পথ দেখিয়েছেন।

স্বৈরাচার এরশাদ সরকার পতনের পর ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি ক্ষমতায় আসে।

★★ বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান মোস্তফা মহসীন মন্টু কিছু অপকর্মে লিপ্ত হয়, যে কারণে সংগঠন থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। মন্টুর নেতৃত্বে যুবলীগ জবাই লীগ ও জব্বর লীগ হিসেবে পরিচয় পায় সেই সময়।

এ কালো অধ্যায়ের থেকে বের হওয়ার জন্য ১৯৯৬ সালে চতুর্থ কংগ্রেসের মাধ্যমে শেখ পরিবারের অন্যতম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়। যুবলীগ সোচ্চার থেকেছে মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ আন্দোলন করছে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে। চতুর্থ কংগ্রেসের কয়েক মাস পরে আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে, আর সরকারে আসার পর যুবলীগ গৃহবন্দি হয়ে যায়। নিষ্প্রাণ অবস্থায় চলতে থাকে যুবলীগ ।

★★১৯৯৮ সালে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের প্রথম সভাপতি আবুল কাশেম মন্টু শেখ হাসিনার ফুফুর বাড়ি দখল করতে যায়, এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।

গৃহবন্দি , সেই জবাই লীগ ও জব্বর লীগের তকমা থেকে যুবলীগ উত্তরণ পাওয়ার জন্য ২০০৩ সালে পঞ্চম কংগ্রেসে এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজমের নেতৃত্বে ২০০৩ থেকে শুরু নতুন যুবলীগ, শেখ ফজলুল হক মনি, আমির হোসেন আমুর যুবলীগে ফিরিয়ে আনেন জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মীর্জা আজম।

২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার গঠনের পর যখন চারদিকে হত্যা, গুম, বাড়ি-ঘরে লুট, শিক্ষক হত্যা,আওয়ামী লীগকে নিঃশেষ করতে ২১ আগস্টে গ্রেনেট হামলা করা হয় এবং ৬৪ জেলায় বোমা হামলা, বিএনপি-জামায়েত জোট সরকার দুর্নীতিতে বাংলাদেশ টানা ৫ বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়। তার প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ রাজপথে অগ্রণী ভূমিকা রাখে।
যুবলীগ যখন রাজপথে আন্দোলন করছে তখন চারদলীয় জোট ক্লিনহার্ট অপারেশনের নামে অসংখ্য নেতা কর্মীকে হত্যা ও জেলে বন্দী ও নির্মম নির্যাতন করে। আওয়ামী যুবলীগ স্বাধীনতা পরবর্তী প্রতিটি আন্দোলনে অপরিসীম ভুমিকা রাখে।

২০০৭-২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত সরকার যখন শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করেন তখনও রাজপথে নেমেছিলো বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের নেতাকর্মীরা। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ যুবলীগ শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনে গিয়ে রায়সা বাজার মোড়ে গ্রেফতার হয় যুবলীগ নেতা, যুব মহিলা লীগ নেতৃবৃন্দ।
যুবলীগের অনেক চেয়ারম্যান/ সাধারণ সম্পাদক সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়েছেন আজকের যুবলীগকে।

২০০৮ সালের নির্বাচনে মৃত্যুঞ্জয়ী নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০২১ ঘোষণা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করতে থাকে। যার অন্যতম কাজ ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া, যা যুবসমাজের জন্য মাইলফলক হয়েছে, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক উন্নয়ন, খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ, দারিদ্র্য বিমোচন, বেকারত্ব দূর, কর্মসংস্থানসহ নানা কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক মন্ত্রীর দ্বায়িত্ব পান, এর পর চেয়ারম্যান পদ ছেড়ে দেন। আর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান ওমর ফারুক চৌধুরী।

২০১২ সালে ষষ্ঠ কংগ্রেসের মাধ্যমে ওমর ফারুক চৌধুরী চেয়ারম্যান ও হারুনুর রশিদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
আবার যুবলীগ চলে যায় যৌতুক হিসেবে চেয়ারম্যানের হাতে। অন্তর মহলে পরিচিতি পায় যৌতুক লীগ হিসেবে। শুরু হয় কমিটি বাণিজ্য! টাকা হলে সন্ত্রাসি, চাঁদাবাজ, ক্যাসিনোবাজ এসব দেখার প্রয়োজন মনে করেননি ওমর ফারুক কমিটি। ঢাকা মহানগর ও চট্টগ্রাম মহানগর ওয়ার্ড কমিটি সর্ব নিম্ন ১০ লক্ষ উপরে যা পাওয়া যায় এবং উপজেলা কমিটি সর্ব নিম্ন ২৫ লক্ষ টাকা বা তার অধিক নেয়ার অভিযোগ ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে। শ্রেষ্ট সংগঠক হিসেবে খেতাব পাওয়া বহিস্কৃত নেতার থেকে মিশিনে গুনে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ব্যাপক আলোচিত।

জেলা কমিটি ১ কোটি সর্ব নিম্ন যার ফলে নেতা তৈরি হয়েছে, কর্মী তৈরি হয়নি। ওমর ফারুক চৌধুরীর নেতৃত্বে ২০১৮ সালে চরম আঘাত আসে যুবলীগের উপর যা প্রতিষ্ঠা কাল থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত এমন বিপর্যায় পরে নাই এই সংগঠন। ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতির চাঁদাবাজী, ক্যাসিনো কান্ড থেকে শুরু করে অনেক কিছু শেখ হাসিনার জ্ঞাতার্থে। শুরু হয় যুবলীগকে পরিচ্ছন্ন করার মিশন।

যুবলীগকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে ২০১৯ সালে সপ্তম কংগ্রেসের ঘোষণা করেন শেখ হাসিনা। সেই কংগ্রেসে শেখ ফজলে শামস পরশ চেয়ারম্যান ও মাইনুল হাসান খান নিখিল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। মেধা ও মননের সমন্বয় কমিটি গঠন করা হলেও কিছু দিন যেতে না যেতেই শুরু হয় শেখ পরিবারের একাধিক যুবলীগ নেতা ও আত্মীয় স্বজনের কমিটি বাণিজ্য।চেয়ারম্যান চেষ্টা করেও সামাল দিতে পারেনি আত্মীয় স্বজনদের। যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন শেখ সেলিমের ছেলে পরিচয় দিয়ে ক্যাসিনোকান্ড করেছে, নিজের দলের কর্মীদের জেলে দেয়া, হত্যা করা এবং বিএনপির কাছে কাজ বিক্রি করে বিএনপি নেতাদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। এখন সেই সকল নেতারা দেশের বাইরে বসে বিএনপির নেতাদের সাথে যোগাযোগ করে, শেখ হাসিনার জন্য, দলের জন্য যারা দেশে থেকে রাজপথে মিছিল করতে নামে, তাদের গ্রেফতারের জন্য বিএনপির বন্ধুদের তথ্য দিচ্ছেন।

এই প্রতিকূল অবস্থায় ও নেতাকর্মীরা জেল- জুলুম অত্যাচার, নির্যাতনকে উপেক্ষা করে ঢাকা সহ সারা দেশে মিছিল করছে। শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের উপর আস্থা রেখে। যুবলীগের নেতাকর্মীরা যেমন রাজপথে ভূমিকা রাখছে, তেমনি জেল, জুলুম, নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। গত সেপ্টেম্বরের ২৪ তারিখ কেন্দ্রীয় ঘোষণা অনুযায়ী রাজধানীতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সকল অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দকে প্রতিবাদ মিছিলের নির্দেশনা দেয়া হলে, ফার্মগেট ও বসুন্ধরার সামনে যাদের মিছিলের করার কথা তাদের প্রোগ্রাম না করার বাধা দেয়ার তথ্য এখন কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে। আর এ বাধা প্রদান করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক এক বিতর্কীত নেতার বিরুদ্ধে। ধারণা করা হচ্ছে বর্তমান যুবলীগের সাফল্য তিনি দেখতে চান না।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যার পর মোস্তাক জিয়া যা করেছেন
ঠিক তেমনি ৫ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল।
তিনি আল্লাহ পাকের রহমতে বেঁচে গেছেন।

৫ আগস্ট সৃষ্টিকারী ইউনুস সরকার শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে বের করার পর দেশের রাজনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ভাবধারার সরকার গঠন করার জন্য ৭১ এর পরাজিত শত্রুর সাথে চলছে দেনদরবার। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেয়া আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সব নেতা কর্মীদের মামলা দিয়ে জেলে আটক রাখা। বর্তমানে গণতন্ত্র, শোষণমুক্ত শ্রেণি, ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের পরিবর্তে শুরু হয়েছে মৌলবাদী ও পশ্চাৎপদ চিন্তাধারার রাষ্ট্র ব্যবস্থার।
কিন্তু বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ তা হতে দিবে না।
দলিয় দেশি-বিদেশি সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে, আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ দেশে থাকা সকল সহযোগী সংগঠনের সাধারণ নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ফিরে আসবে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস আজ

যুবলীগের উত্থান পতন!

Update Time : 01:00:10 pm, Saturday, 25 October 2025

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর যুব সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হয় শেখ ফজলুল হক মনি। শেখ মনি ছিলেন একজন দক্ষ সংগঠক, বিচক্ষণ রাজনীতিবীদ, লেখক, সাংবাদিক এবং মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মুজিব বাহিনীর প্রধান।

শেখ মনি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ভাগ্নে এবং বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত সহচর, তিনি পারিবারিকভাবে রাজনীতির জ্ঞান অর্জন করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত অবস্থায় ছাত্ররাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন, তিনি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬-এর ছয় দফা, ৬৯-এর গণ-আন্দোলনে ছিল তার সক্রিয় অংশগ্রহণ।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ছিল তার অসাধারণ ভূমিকা। জাতির কাছে তিনি স্মরণীয় মুজিববাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করা। গণমাধ্যমে ও রেখেছেন অবদান, দেশ স্বাধীন হবার পর দৈনিক বাংলার বাণী পত্রিকা সম্পাদনা করেন শেখ মনি। সাপ্তাহিক সিনেমারও সম্পাদক ছিলেন তিনি। ১৯৭৪ সালের ৭ জুন তার সম্পাদনায় দৈনিক বাংলাদেশ টাইমস প্রকাশিত হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান তার এই বহুমুখী প্রতিভার কারণে দেশের যুবসমাজকে নিয়ে ভাবতে ও কাজ করতে বলেন। তারই ধারাবাহিকতায় মূলত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার চার মূলনীতির ওপর ভিত্তি করে গণতন্ত্র, শোষণমুক্ত শ্রেণি সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধ করে, শিক্ষা, বেকারত্ব দূরীকরণ, দারিদ্র্য বিমোচন, আত্মনির্ভরশীল অর্থনীতি, কর্মসংস্থানের মাধ্যমে যুবকদের স্বাবলম্বী করার জন্য যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করা হয়। সেই লক্ষ্যে কাজ শুরু করেন শেখ মনি। ১৯৭৪ সালে প্রথম কংগ্রেসের মাধ্যমে নেতৃত্বে আসেন শেখ মনি।
কিন্তু দুঃখের বিষয় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দেশের ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কিছু ঘাতক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার আগে ঘাতকের দল প্রথম আক্রমণ করেন শেখ মনির উপর। শেখ মনি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনিকে হত্যা করে ঘাতক দল।
তারা জানতেন শেখ মনি জীবিত থাকলে ঘাতকেদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না, তাই তার পরিবারসহ তাকে হত্যা করে। অল্পের জন্য বেঁচে যান শিশু পুত্র শেখ ফজলে শামস পরশ ও শেখ ফজলে নূর তাপস।

বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দেশের রাজনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটতে থাকে, সারা দেশে তৈরি হয় অস্থিরতা।

এদিকে পাকিস্তানি ভাবধারার সরকার গঠন করে মোশতাক গং। মোশতাক জিয়া গংরা মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেয়া সেনাবাহিনীদের হত্যা এবং মামলা। চলে ক্যু পালটা ক্যু। দেশের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সব নেতা কর্মীদের মামলা দিয়ে নির্যাতন ও গ্রেফতার করে জেলে আটক রাখে।

এই অবস্থায় আওয়ামী যুবলীগকে সংঘটিত করার জন্য , আমির হোসেন আমু নেতৃত্বে ১৯৭৮ সালে দ্বিতীয় কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়।
দ্বিতীয় কংগ্রেসের মাধ্যমে আবার বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ সংগঠিত হয়ে, প্রস্তুতি নিতে থাকেন আন্দোলনের।
এদিকে জিয়া ও এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে অনেক যুবলীগের নেতাকর্মীরা নির্যাতন ও গ্রেফতার হয় ।১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা দেশে আসে সে সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের ঢল নামে শেখ হাসিনাকে দেখার জন্য, মানিক মিয়া এভিনিউতে বৃষ্টিতে ভিজে লক্ষ মানুষের উপস্থিতি।

১৯৮৬ সালে তৃতীয় কংগ্রেসে মোস্তফা মহসীন মন্টুকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়। তৃতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে শুরু করে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন, প্রথম থেকে সাহসী ভূমিকা পালন করে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের নেতাকর্মীরা। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে শহীদ হয় যুবলীগকর্মী নূর হোসেন । শহীদ নূর হোসেন নিজের জীবন দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ফিরে আনার পথ দেখিয়েছেন।

স্বৈরাচার এরশাদ সরকার পতনের পর ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি ক্ষমতায় আসে।

★★ বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান মোস্তফা মহসীন মন্টু কিছু অপকর্মে লিপ্ত হয়, যে কারণে সংগঠন থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। মন্টুর নেতৃত্বে যুবলীগ জবাই লীগ ও জব্বর লীগ হিসেবে পরিচয় পায় সেই সময়।

এ কালো অধ্যায়ের থেকে বের হওয়ার জন্য ১৯৯৬ সালে চতুর্থ কংগ্রেসের মাধ্যমে শেখ পরিবারের অন্যতম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়। যুবলীগ সোচ্চার থেকেছে মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ আন্দোলন করছে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে। চতুর্থ কংগ্রেসের কয়েক মাস পরে আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে, আর সরকারে আসার পর যুবলীগ গৃহবন্দি হয়ে যায়। নিষ্প্রাণ অবস্থায় চলতে থাকে যুবলীগ ।

★★১৯৯৮ সালে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের প্রথম সভাপতি আবুল কাশেম মন্টু শেখ হাসিনার ফুফুর বাড়ি দখল করতে যায়, এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।

গৃহবন্দি , সেই জবাই লীগ ও জব্বর লীগের তকমা থেকে যুবলীগ উত্তরণ পাওয়ার জন্য ২০০৩ সালে পঞ্চম কংগ্রেসে এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজমের নেতৃত্বে ২০০৩ থেকে শুরু নতুন যুবলীগ, শেখ ফজলুল হক মনি, আমির হোসেন আমুর যুবলীগে ফিরিয়ে আনেন জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মীর্জা আজম।

২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার গঠনের পর যখন চারদিকে হত্যা, গুম, বাড়ি-ঘরে লুট, শিক্ষক হত্যা,আওয়ামী লীগকে নিঃশেষ করতে ২১ আগস্টে গ্রেনেট হামলা করা হয় এবং ৬৪ জেলায় বোমা হামলা, বিএনপি-জামায়েত জোট সরকার দুর্নীতিতে বাংলাদেশ টানা ৫ বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়। তার প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ রাজপথে অগ্রণী ভূমিকা রাখে।
যুবলীগ যখন রাজপথে আন্দোলন করছে তখন চারদলীয় জোট ক্লিনহার্ট অপারেশনের নামে অসংখ্য নেতা কর্মীকে হত্যা ও জেলে বন্দী ও নির্মম নির্যাতন করে। আওয়ামী যুবলীগ স্বাধীনতা পরবর্তী প্রতিটি আন্দোলনে অপরিসীম ভুমিকা রাখে।

২০০৭-২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত সরকার যখন শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করেন তখনও রাজপথে নেমেছিলো বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের নেতাকর্মীরা। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ যুবলীগ শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনে গিয়ে রায়সা বাজার মোড়ে গ্রেফতার হয় যুবলীগ নেতা, যুব মহিলা লীগ নেতৃবৃন্দ।
যুবলীগের অনেক চেয়ারম্যান/ সাধারণ সম্পাদক সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়েছেন আজকের যুবলীগকে।

২০০৮ সালের নির্বাচনে মৃত্যুঞ্জয়ী নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০২১ ঘোষণা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করতে থাকে। যার অন্যতম কাজ ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া, যা যুবসমাজের জন্য মাইলফলক হয়েছে, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক উন্নয়ন, খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ, দারিদ্র্য বিমোচন, বেকারত্ব দূর, কর্মসংস্থানসহ নানা কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক মন্ত্রীর দ্বায়িত্ব পান, এর পর চেয়ারম্যান পদ ছেড়ে দেন। আর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান ওমর ফারুক চৌধুরী।

২০১২ সালে ষষ্ঠ কংগ্রেসের মাধ্যমে ওমর ফারুক চৌধুরী চেয়ারম্যান ও হারুনুর রশিদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
আবার যুবলীগ চলে যায় যৌতুক হিসেবে চেয়ারম্যানের হাতে। অন্তর মহলে পরিচিতি পায় যৌতুক লীগ হিসেবে। শুরু হয় কমিটি বাণিজ্য! টাকা হলে সন্ত্রাসি, চাঁদাবাজ, ক্যাসিনোবাজ এসব দেখার প্রয়োজন মনে করেননি ওমর ফারুক কমিটি। ঢাকা মহানগর ও চট্টগ্রাম মহানগর ওয়ার্ড কমিটি সর্ব নিম্ন ১০ লক্ষ উপরে যা পাওয়া যায় এবং উপজেলা কমিটি সর্ব নিম্ন ২৫ লক্ষ টাকা বা তার অধিক নেয়ার অভিযোগ ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে। শ্রেষ্ট সংগঠক হিসেবে খেতাব পাওয়া বহিস্কৃত নেতার থেকে মিশিনে গুনে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ব্যাপক আলোচিত।

জেলা কমিটি ১ কোটি সর্ব নিম্ন যার ফলে নেতা তৈরি হয়েছে, কর্মী তৈরি হয়নি। ওমর ফারুক চৌধুরীর নেতৃত্বে ২০১৮ সালে চরম আঘাত আসে যুবলীগের উপর যা প্রতিষ্ঠা কাল থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত এমন বিপর্যায় পরে নাই এই সংগঠন। ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতির চাঁদাবাজী, ক্যাসিনো কান্ড থেকে শুরু করে অনেক কিছু শেখ হাসিনার জ্ঞাতার্থে। শুরু হয় যুবলীগকে পরিচ্ছন্ন করার মিশন।

যুবলীগকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে ২০১৯ সালে সপ্তম কংগ্রেসের ঘোষণা করেন শেখ হাসিনা। সেই কংগ্রেসে শেখ ফজলে শামস পরশ চেয়ারম্যান ও মাইনুল হাসান খান নিখিল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। মেধা ও মননের সমন্বয় কমিটি গঠন করা হলেও কিছু দিন যেতে না যেতেই শুরু হয় শেখ পরিবারের একাধিক যুবলীগ নেতা ও আত্মীয় স্বজনের কমিটি বাণিজ্য।চেয়ারম্যান চেষ্টা করেও সামাল দিতে পারেনি আত্মীয় স্বজনদের। যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন শেখ সেলিমের ছেলে পরিচয় দিয়ে ক্যাসিনোকান্ড করেছে, নিজের দলের কর্মীদের জেলে দেয়া, হত্যা করা এবং বিএনপির কাছে কাজ বিক্রি করে বিএনপি নেতাদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। এখন সেই সকল নেতারা দেশের বাইরে বসে বিএনপির নেতাদের সাথে যোগাযোগ করে, শেখ হাসিনার জন্য, দলের জন্য যারা দেশে থেকে রাজপথে মিছিল করতে নামে, তাদের গ্রেফতারের জন্য বিএনপির বন্ধুদের তথ্য দিচ্ছেন।

এই প্রতিকূল অবস্থায় ও নেতাকর্মীরা জেল- জুলুম অত্যাচার, নির্যাতনকে উপেক্ষা করে ঢাকা সহ সারা দেশে মিছিল করছে। শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের উপর আস্থা রেখে। যুবলীগের নেতাকর্মীরা যেমন রাজপথে ভূমিকা রাখছে, তেমনি জেল, জুলুম, নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। গত সেপ্টেম্বরের ২৪ তারিখ কেন্দ্রীয় ঘোষণা অনুযায়ী রাজধানীতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সকল অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দকে প্রতিবাদ মিছিলের নির্দেশনা দেয়া হলে, ফার্মগেট ও বসুন্ধরার সামনে যাদের মিছিলের করার কথা তাদের প্রোগ্রাম না করার বাধা দেয়ার তথ্য এখন কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে। আর এ বাধা প্রদান করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক এক বিতর্কীত নেতার বিরুদ্ধে। ধারণা করা হচ্ছে বর্তমান যুবলীগের সাফল্য তিনি দেখতে চান না।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যার পর মোস্তাক জিয়া যা করেছেন
ঠিক তেমনি ৫ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল।
তিনি আল্লাহ পাকের রহমতে বেঁচে গেছেন।

৫ আগস্ট সৃষ্টিকারী ইউনুস সরকার শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে বের করার পর দেশের রাজনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ভাবধারার সরকার গঠন করার জন্য ৭১ এর পরাজিত শত্রুর সাথে চলছে দেনদরবার। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেয়া আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সব নেতা কর্মীদের মামলা দিয়ে জেলে আটক রাখা। বর্তমানে গণতন্ত্র, শোষণমুক্ত শ্রেণি, ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের পরিবর্তে শুরু হয়েছে মৌলবাদী ও পশ্চাৎপদ চিন্তাধারার রাষ্ট্র ব্যবস্থার।
কিন্তু বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ তা হতে দিবে না।
দলিয় দেশি-বিদেশি সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে, আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ দেশে থাকা সকল সহযোগী সংগঠনের সাধারণ নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ফিরে আসবে।