বিশ্বাসের প্রতিধ্বনি নিউজ ডেস্কঃ মানুষের মুখের ভাষা তার অন্তরের প্রতিচ্ছবি। একজন মুমিনের মুখের ভাষা শুধু তার ব্যক্তিগত আচরণ নয়; বরং তার ইমান, চরিত্র এবং আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের পরিচায়ক। ইসলাম এমন একটি জীবনব্যবস্থা, যা মানুষের প্রতিটি দিককে শুদ্ধ ও সুন্দর করার শিক্ষা দেয়। মুখের ভাষা তার অন্যতম।
এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর আমার বান্দাদের বল, তারা যেন এমন কথা বলে, যা অতি সুন্দর। নিশ্চয়ই শয়তান মানুষের মধ্যে ঝগড়া-বিভেদ সৃষ্টি করে।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ৫৩)। ‘আর তোমরা লোকের সঙ্গে উত্তমভাবে কথা বলবে।’ (সুরা বাকারা: ৮৩)। এই আয়াতগুলো আমাদের শেখায়, একজন মুমিনের ভাষা হতে হবে কোমল, সৌজন্যমূলক এবং বিভেদ নয়; বরং ঐক্য সৃষ্টিকারী।
আমাদের নবী করিম (সা.) ছিলেন জাওয়ামিউল কালিমের অধিকারী—অল্প কথায় গভীর অর্থ প্রকাশের ক্ষমতা ছিল তাঁর। তিনি কখনো কটূক্তি করেননি; বরং শত্রুকেও নরম ভাষায় উপদেশ দিয়েছেন। তাঁর মুখের ভাষা ছিল সত্যনিষ্ঠ ও নম্র, হৃদয়গ্রাহী ও প্রাঞ্জল, রসিকতা ও মিথ্যাবর্জিত। তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি নিজের জিহ্বা ও লজ্জাস্থান হেফাজত করবে, আমি তার জন্য জান্নাতের জামিনদার হব।’ (সহিহ্ বুখারি)
একজন মুমিনের মুখের ভাষা শুধু ব্যক্তিগত নয়; বরং সামাজিক শান্তি ও সৌহার্দ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। রুক্ষ ভাষা যেমন সম্পর্ক নষ্ট করে, তেমনি কোমল ভাষা হৃদয় জয় করে। একজন মুমিনের মুখের ভাষা হবে শান্তির বার্তা, সত্যের প্রতিচ্ছবি এবং নম্রতার প্রতীক।
ইসলাম আমাদের শেখায়—ভাষা দিয়ে মানুষকে জয় করতে। তাই আসুন, আমরা আমাদের মুখের ভাষাকে ইমানের আলোয় শুদ্ধ করি, যেন আমাদের প্রতিটি উচ্চারণ হয় আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে একধাপ অগ্রসর।
Reporter Name 























