7:51 pm, Tuesday, 11 November 2025

ভৈরবে দাবি আদায়ে সড়ক, রেল ও নৌপথে একযোগে অবরোধের ঘোষণা

কিশোরগঞ্জের ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে এবার নৌপথ অবরোধ করা হয়েছে। এতে মেঘনা নদীর ঘাটে এক ঘণ্টা নৌচলাচল বন্ধ ছিল।

কর্মসূচি শেষে আগামী বৃহস্পতিবার একযোগে সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের ঘোষণা দেন বিক্ষোভকারীরা।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় থেকে শুরু হয়ে ভৈরব বাজার লঞ্চঘাট ও কার্গোঘাটে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলে এই অবরোধ।

অবরোধকারীরা বলেন, সোমবার শান্তিপূর্ণ রেল অবরোধের সময় কর্মসূচির শেষের দিকে হঠাৎ ট্রেনচালক জোরে ট্রেনের হুইসেল বাজানোর কারণে জনতা নিজেদের সেভ করতে কয়েকটি পাথর নিক্ষেপ করে। তবে এই ঘটনার সম্পূর্ণ দায় স্টেশন মাস্টার ও রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি)। আমরা ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে পূর্বেও ছিলাম ভবিষ্যতেও থাকবো। আমাদের মামলা দিয়ে দমিয়ে রাখা যাবে না।

এর আগে, আন্দোলনকারীরা সড়ক, রেলপথ আন্দোলন করে দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এবার তৃতীয় দিনের মতো নৌপথ অবরোধ করে দাবি আদায়ে মাঠে থাকার ঘোষণা দেন। বৃহস্পতিবার একযোগে সড়কপথ, রেলপথ ও নৌপথ অবরোধের ঘোষণা দেন বিক্ষুব্ধ আন্দোলকারীরা।

ভৈরব পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক খায়রুল ইসলাম পাভেল বলেন, ভৈরবকে জেলা ঘোষণা সর্বস্তরের মানুষের দাবি। পূর্বে আন্দোলনের মাধ্যমে ৬৫তম জেলার প্রজ্ঞাপন জারি হলেও পরে সরকার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। আমরা জেলার দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে মাঠে নেমেছি।

বাঁশগাড়ি জিল্লুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র রায়হান বলে, ভৈরবকে জেলা ঘোষণা দাবিতে বিক্ষোভ-মিছিল শান্তিপূর্ণভাবে করা হয়েছে। আমরা ব্লকেড কর্মসূচিও পালন করেছি শান্তিপূর্ণভাবে। আমরা রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়েছিলাম, তবে প্রশাসনের কথা অনুযায়ী তা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। জেলা বাস্তবায়নের জন্য আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছি।

এ সময় জেলা আন্দোলনের নেতা মাওলানা সাইফুল ইসলাম শাহারিয়া, গণঅধিকার পরিষদের নেতা ইমতিয়াজ আহমেদ কাজল, ছাত্রনেতা জুনাইদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

ভৈরব বাজার লঞ্চঘাটে নৌপথ অবরোধ চলাকালে যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য ভৈরব উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এএইচএম মো. আজিমুল হক, ভৈরব নৌথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাশেদুজ্জামানসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ভৈরব নৌথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, সকালে ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন হয়েছে। আন্দোলনকারীরা আগামী বৃহস্পতিবার সড়ক, রেল, নৌপথ একযোগে অবরোধের ঘোষণা দিয়ে আজকের কর্মসূচি শেষ করেন।

প্রসঙ্গত, অবরোধকারীদের দাবি ২০০৯ সালে গেজেট হওয়া ৬৫তম ভৈরব জেলার দ্রুত ঘোষণার জন্য এই আন্দোলন।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যত মামলা আছে তুলে নেওয়া হবেঃ মির্জা ফখরুল

ভৈরবে দাবি আদায়ে সড়ক, রেল ও নৌপথে একযোগে অবরোধের ঘোষণা

Update Time : 02:58:44 pm, Tuesday, 28 October 2025

কিশোরগঞ্জের ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে এবার নৌপথ অবরোধ করা হয়েছে। এতে মেঘনা নদীর ঘাটে এক ঘণ্টা নৌচলাচল বন্ধ ছিল।

কর্মসূচি শেষে আগামী বৃহস্পতিবার একযোগে সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের ঘোষণা দেন বিক্ষোভকারীরা।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় থেকে শুরু হয়ে ভৈরব বাজার লঞ্চঘাট ও কার্গোঘাটে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলে এই অবরোধ।

অবরোধকারীরা বলেন, সোমবার শান্তিপূর্ণ রেল অবরোধের সময় কর্মসূচির শেষের দিকে হঠাৎ ট্রেনচালক জোরে ট্রেনের হুইসেল বাজানোর কারণে জনতা নিজেদের সেভ করতে কয়েকটি পাথর নিক্ষেপ করে। তবে এই ঘটনার সম্পূর্ণ দায় স্টেশন মাস্টার ও রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি)। আমরা ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে পূর্বেও ছিলাম ভবিষ্যতেও থাকবো। আমাদের মামলা দিয়ে দমিয়ে রাখা যাবে না।

এর আগে, আন্দোলনকারীরা সড়ক, রেলপথ আন্দোলন করে দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এবার তৃতীয় দিনের মতো নৌপথ অবরোধ করে দাবি আদায়ে মাঠে থাকার ঘোষণা দেন। বৃহস্পতিবার একযোগে সড়কপথ, রেলপথ ও নৌপথ অবরোধের ঘোষণা দেন বিক্ষুব্ধ আন্দোলকারীরা।

ভৈরব পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক খায়রুল ইসলাম পাভেল বলেন, ভৈরবকে জেলা ঘোষণা সর্বস্তরের মানুষের দাবি। পূর্বে আন্দোলনের মাধ্যমে ৬৫তম জেলার প্রজ্ঞাপন জারি হলেও পরে সরকার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। আমরা জেলার দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে মাঠে নেমেছি।

বাঁশগাড়ি জিল্লুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র রায়হান বলে, ভৈরবকে জেলা ঘোষণা দাবিতে বিক্ষোভ-মিছিল শান্তিপূর্ণভাবে করা হয়েছে। আমরা ব্লকেড কর্মসূচিও পালন করেছি শান্তিপূর্ণভাবে। আমরা রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়েছিলাম, তবে প্রশাসনের কথা অনুযায়ী তা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। জেলা বাস্তবায়নের জন্য আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছি।

এ সময় জেলা আন্দোলনের নেতা মাওলানা সাইফুল ইসলাম শাহারিয়া, গণঅধিকার পরিষদের নেতা ইমতিয়াজ আহমেদ কাজল, ছাত্রনেতা জুনাইদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

ভৈরব বাজার লঞ্চঘাটে নৌপথ অবরোধ চলাকালে যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য ভৈরব উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এএইচএম মো. আজিমুল হক, ভৈরব নৌথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাশেদুজ্জামানসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ভৈরব নৌথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, সকালে ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন হয়েছে। আন্দোলনকারীরা আগামী বৃহস্পতিবার সড়ক, রেল, নৌপথ একযোগে অবরোধের ঘোষণা দিয়ে আজকের কর্মসূচি শেষ করেন।

প্রসঙ্গত, অবরোধকারীদের দাবি ২০০৯ সালে গেজেট হওয়া ৬৫তম ভৈরব জেলার দ্রুত ঘোষণার জন্য এই আন্দোলন।