বিশ্বাসের প্রতিধ্বনি নিউজ ডেস্কঃ মাঠের লড়াই ভারত-পাকিস্তান জমে না বললেই চলে। কিন্তু চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী শব্দটার একটা অর্থ যে ধরে রাখতেই হবে। সেকারণে মাঠের পারফরম্যান্স যতটা না জমে ওঠে, তার চেয়ে বরং অন্যান্য ঘটনায় আলোচনা ছড়ায় বেশি।
দুবাইয়ে গতকাল ভারত-পাকিস্তান সুপার ফোরের ম্যাচের ফল ছাপিয়ে আলোচনায় এসেছেন হারিস রউফ। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, রউফ সীমানার ধারে ফিল্ডিং করছেন। ভারতীয় দর্শকেরা তাঁকে উদ্দেশ্য করে ‘কোহলি, কোহলি’ বলে খেপাচ্ছিলেন। যে বিরাট কোহলির কাছে ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জোড়া ছক্কা রউফ হজম করেছিলেন। গতকাল দুবাইয়ে রউফের সেই স্মৃতি মনে পড়েছে কি না, জানা নেই। ভারতীয় দর্শকদের উদ্দেশ্যে বিমান ধসের ইঙ্গিত দিয়েছেন এবং ৬ আঙুল বের করেছেন।
দর্শকদের জবাব দিতে গিয়ে রউফ যা করেছেন, সেটা ইঙ্গিতপূর্ণ মনে হচ্ছে। এমনিতেই ভারত-পাকিস্তান রাজনৈতিক বৈরিতা গত কয়েক মাসে অনেক বেড়েছে। এ বছরের এপ্রিলে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের গুলিতে পর্যটক নিহত হওয়ার পরপরই দুই দেশই সামরিক সংঘাতে জড়িয়েছিল। মে মাসে হওয়া ভারত সেই অভিযানের নাম দিয়েছিল ‘অপারেশন সিঁদুর’। দুই দেশের সামরিক সংঘাতে ভারতের ৬টি বিমান পাকিস্তানের আক্রমণে ভূপাতিত হয়েছিল বলে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দাবি করেছিল। সেই বিমানগুলো ফরাসি রাফায়েল জেট বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। দুবাইয়ে গতকাল রউফের কর্মকাণ্ড চার মাস আগের সেই ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করছে বলে ভারতীয়, পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে।
রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে দুবাইয়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানি অধিনায়ক সালমান আলী আঘার সঙ্গে করমর্দন করেননি ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। গ্রুপ পর্বের সেই ম্যাচের এক সপ্তাহ পর গতকাল সুপার ফোরে মুখোমুখি হয় ভারত-পাকিস্তান। এবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এমনকি ম্যাচ শেষে দুই দেশের ক্রিকেটাররা কেউ কারও সঙ্গে করমর্দন করেননি। পাকিস্তানের দেওয়া ১৭২ রানের লক্ষ্য ৭ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে জিতেছে ভারত। যে রউফ বিমান ধসের ইঙ্গিত দিয়ে আলোচনায় এসেছেন, তিনিই নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন। ৪ ওভারে ২৬ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। সুপার ফোরে পাকিস্তানের পরবর্তী প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে আগামীকাল হবে শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান ম্যাচ।
Reporter Name 



















