বিশ্বাসের প্রতিধ্বনি নিউজ ডেস্কঃ আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে কিনা তা নিয়ে এখনও সন্দেহ আছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এই সংশয়ের কথা উল্লেখ করে দলটির মূখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, জুলাই সনদের এখনও সমাধান হয়নি। এনসিপি দ্রুত ভোট চায়, তবে প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিক করার পর। আমরা ভোটে সবচেয়ে বেশি আগ্রহী। কিন্তু এনসিপি ভোট চায়না বলে যারা প্রচার করছে এটা তাদের প্রোগাগান্ডা।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসে এনসিপি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে নাসীরুদ্দিন পাটওয়ারী এসব কথা বলেন।
পাটওয়ারী জানান, তার দল নিবন্ধন পাবে বলে ইসি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে আমাদের শাপলা প্রতীক দিতে হবে। আমরা শাপলা, সাদা শাপলা ও লাল শাপলা প্রতীক চেয়েছি। এর মধ্যে একটি প্রতীক না পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবো।
তিনি জানান, আমরা নিবন্ধনের বিষয়ে সিইসির সঙ্গে কথা বলেছি। সিইসি বলেছেন শিগগিরই বিজ্ঞপি প্রকাশ করবেন এবং আপত্তি প্রকাশের জন্য সময় বেঁধে দেবেন।
এনসিপি শাপলার পাশাপাশি সাদা ও লাল শাপলা প্রতীক চেয়ে আবেদন করেছে দ্বিতীয়বার। কিন্তু প্রতীকের তালিকায় এ ধরনের নির্বাচনী প্রতীক রাখেনি ইসি এবং আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো প্রতীক তালিকাও সংশোধন আকারে ভেটিংয়ের অপেক্ষায় রয়েছে।
একটি জরিপের বরাত দিয়ে পাটওয়ারী দাবি করেন, ১৫০ আসনে এনসিপির জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আর বিএনপি ৫০-১০০ এর বেশি আসন পাবে না।
সাবেক সেনা কর্মকর্তা যারা জুলাইয়ে গুলি চালায়নি, সাংবাদিক, শ্রমিক, কৃষক যারা গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে ছিলেন, তাদেরও সংসদে দেখতে চেয়েছেন পাটওয়ারী।
এসময় বিএনপি ও জামায়াতের কারণে ‘নির্বাচন বিলম্বিত’ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন নাসীরুদ্দিন। দল দুটির উদ্দেশে তিনি বলেন, ভন্ডামি বাদ দেন। আমরা বিএনপি না, জামায়াত না। আমরা স্বতন্ত্র। গত ১৫ বছরের সব ব্যানারকে আমরা একিভূত করবো, এক সঙ্গে। গণঅধিকার পরিষদ আমাদের সঙ্গে একিভূত হবে। কারণ আমাদের আদর্শিক লড়াই এক। গণঅধিকার পরিষদ বা অন্য কারো সঙ্গে যুক্ত হলেও দলের নাম এনসিপি থাকবে এবং প্রতীকও এনসিপিরই থাকবে। আমরা উচ্চকক্ষে পিআর চাই, নিম্নকক্ষে পিআর চাইনা।
Reporter Name 























