5:03 am, Wednesday, 12 November 2025

পিআর আন্দোলন কৌশলগত প্রতারণা জামায়াতের

জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীর আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর আন্দোলন ছিল কৌশলগত রাজনৈতিক প্রতারণা। এটি ঐক্যমত্য কমিশনের সংস্কার প্রক্রিয়া ব্যাহত করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে পরিকল্পিত হয়েছিল। আর এর উদ্দেশ্য ছিল গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্র ও সংবিধান পুনর্গঠনের মূল প্রশ্ন থেকে জাতীয় সংলাপকে অন্যদিকে সরিয়ে দেওয়া। রোববার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।

নাহিদ উল্লেখ করেন, সংস্কারের মূল দাবি ছিল একটি উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে ভোটের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব থাকবে, যা একইসাথে সাংবিধানিক সুরক্ষা হিসেবে ধারণা করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, আমরা এ ধরনের মৌলিক সংস্কার ঘিরে একটি আন্দোলন গড়ে তোলার এবং জাতীয় ঐক্যমত্যের মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু জামায়াত এবং তার মিত্ররা এই এজেন্ডা হাইজ্যাক করে। এটিকে নিছক কারিগরি পিআর ইস্যুতে রূপান্তরিত করে এবং তাদের সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থে দর কষাকষির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে।

জামায়াতের উদ্দেশ্য ‘কখনোই সংস্কার ছিল না’ দাবি করে তিনি বলেন, জামায়াত কখনোই সংস্কার আলোচনায় অংশগ্রহণ করেনি, জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের আগেও নয়, পরেও নয়। তারা কোনো মৌলিক প্রস্তাব দেয়নি, কোনো সাংবিধানিক দৃষ্টিভঙ্গি দেখায়নি, কিংবা গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের প্রতি কোনো অঙ্গীকার প্রকাশ করেনি।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ঐক্যমত্য কমিশনের সংস্কারের প্রতি তাদের সমর্থন কোনো নৈতিক বিশ্বাস নয়। বরং এটি ছিল কৌশলগত অনুপ্রবেশ— সংস্কারের ছদ্মবেশে রাজনৈতিক নাশকতা। বাংলাদেশের মানুষ আজ এই প্রতারণা স্পষ্টভাবে বুঝে গেছে। তারা সত্যের প্রতি জাগ্রত হয়েছে এবং আর কখনো ভুয়া সংস্কারবাদী দ্বারা প্রতারিত হবে না। সর্বশক্তিমান আল্লাহ ও এই দেশের সার্বভৌম জনগণ আর কখনো অসৎ, সুযোগসন্ধানী ও নৈতিকভাবে দেউলিয়া শক্তির শাসন মেনে নেবে না।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যত মামলা আছে তুলে নেওয়া হবেঃ মির্জা ফখরুল

পিআর আন্দোলন কৌশলগত প্রতারণা জামায়াতের

Update Time : 06:20:35 pm, Sunday, 19 October 2025

জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীর আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর আন্দোলন ছিল কৌশলগত রাজনৈতিক প্রতারণা। এটি ঐক্যমত্য কমিশনের সংস্কার প্রক্রিয়া ব্যাহত করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে পরিকল্পিত হয়েছিল। আর এর উদ্দেশ্য ছিল গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্র ও সংবিধান পুনর্গঠনের মূল প্রশ্ন থেকে জাতীয় সংলাপকে অন্যদিকে সরিয়ে দেওয়া। রোববার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।

নাহিদ উল্লেখ করেন, সংস্কারের মূল দাবি ছিল একটি উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে ভোটের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব থাকবে, যা একইসাথে সাংবিধানিক সুরক্ষা হিসেবে ধারণা করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, আমরা এ ধরনের মৌলিক সংস্কার ঘিরে একটি আন্দোলন গড়ে তোলার এবং জাতীয় ঐক্যমত্যের মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু জামায়াত এবং তার মিত্ররা এই এজেন্ডা হাইজ্যাক করে। এটিকে নিছক কারিগরি পিআর ইস্যুতে রূপান্তরিত করে এবং তাদের সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থে দর কষাকষির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে।

জামায়াতের উদ্দেশ্য ‘কখনোই সংস্কার ছিল না’ দাবি করে তিনি বলেন, জামায়াত কখনোই সংস্কার আলোচনায় অংশগ্রহণ করেনি, জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের আগেও নয়, পরেও নয়। তারা কোনো মৌলিক প্রস্তাব দেয়নি, কোনো সাংবিধানিক দৃষ্টিভঙ্গি দেখায়নি, কিংবা গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের প্রতি কোনো অঙ্গীকার প্রকাশ করেনি।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ঐক্যমত্য কমিশনের সংস্কারের প্রতি তাদের সমর্থন কোনো নৈতিক বিশ্বাস নয়। বরং এটি ছিল কৌশলগত অনুপ্রবেশ— সংস্কারের ছদ্মবেশে রাজনৈতিক নাশকতা। বাংলাদেশের মানুষ আজ এই প্রতারণা স্পষ্টভাবে বুঝে গেছে। তারা সত্যের প্রতি জাগ্রত হয়েছে এবং আর কখনো ভুয়া সংস্কারবাদী দ্বারা প্রতারিত হবে না। সর্বশক্তিমান আল্লাহ ও এই দেশের সার্বভৌম জনগণ আর কখনো অসৎ, সুযোগসন্ধানী ও নৈতিকভাবে দেউলিয়া শক্তির শাসন মেনে নেবে না।