বিশ্বাসের প্রতিধ্বনি নিউজ ডেস্কঃ কুমিল্লা মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে কটূক্তির অভিযোগ এনে চারটি মাজারে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে অভিযুক্তের বসত ঘরও। আগের দিন পুলিশ অভিযোগ পেয়েই একজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরের দিন তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডও চায়। তবে তর সয়নি ‘তৌহিদি জনতা’র। পুলিশি হস্তক্ষেপের একদিন পর মাজারগুলোতে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জেলার হোমনা উপজেলার আছাদপুর গ্রামে কফিল উদ্দিন শাহ, হাওয়ালি শাহ, কালাই শাহ ও আবদু শাহ মাজারে এ হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। একই সঙ্গে কটূক্তিকারীর বসতঘরে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার, উপজেলা প্রশাসন, যৌথ বাহিনী ও থানা পুলিশসহ অন্য বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। হোমনা উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তর আগুনে পুড়ে যাওয়া বসতঘরসহ অন্য স্থাপনা রক্ষার চেষ্টা করে।
স্থানীয়রা জানান, ‘বেমজা মহসিন’ নামে একটি ফেসবুক থেকে বুধবার সকালে মহানবী সম্পর্কে ‘আপত্তিকর’ পোস্ট করা হয়। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা বিক্ষোভ করলে অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়। কিন্তু ‘তৌহিদ জনতা’ মাজারে ভাঙচুর, আগুন ও অভিযুক্তর বাড়িতে আগুন দেয়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কুমিল্লা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় কারো ইন্ধন আছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Reporter Name 



















