বিশ্বাসের প্রতিধ্বনি নিউজ ডেস্কঃ নির্বাচন আচরণ বিধিমালা ২০০৮ সংশোধন করে শাপলা, শাদা শাপলা ও লাল শাপলাকে প্রতীক হিসেবে তালিকাভুক্ত করতে এবং জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) তার একটি বরাদ্দ দিতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর আবেদন করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ই-মেইলে এই আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটি যুগ্ম সদস্য সচিব ও
মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন।
এর আগে মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশনে ব্রিফিং নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ জানান, প্রতীকের তালিকায় শাপলা না থাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) শাপলা প্রতীক পাচ্ছে না। সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে অংশীজনদের সঙ্গে আমরা সংলাপ শুরু করতে যাচ্ছি।
রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের অপেক্ষায় থাকা জাতীয় নাগরিক পার্টি বিভিন্ন সময়ে শাপলা প্রতীকের দাবি জানিয়েছে। সোমবার দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী শাপলা প্রতীক না পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান।
এর পরের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার এক ফেসবুক পোস্টে দলটির উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠন সারজিস আলম সরাসরিই বলেন, শাপলাই হতে হবে এনসিপির প্রতীক, না হলে দেখে নেওয়া হবে।
তিনি আরও লেখেন, না হলে নির্বাচন কীভাবে হয়, আর কে কীভাবে ক্ষমতায় গিয়ে মধু খাওয়ার স্বপ্ন দেখে, সেটা আমরাও দেখে নেবো।
চলতি বছরের ২২ জুন জাতীয় ফুল ‘শাপলা’ প্রতীক চেয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধনের জন্য আবেদন জমা দেয় এনসিপি। ওই দিন পছন্দের প্রতীকের তালিকায় শাপলা ছাড়াও ‘কলম’ ও ‘মোবাইল’ রেখেছিল দলটি।
এরপর চার আগস্ট বরাদ্দ চাওয়া প্রতীকে সংশোধন এনে আবারও নির্বাচন কমিশনে আবেদন করে এনসিপি। তবে এবার বাদ যায় কলম ও মোবাইল প্রতীক।
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী একাত্তরকে জানান, আবেদনে আগের শাপলাসহ কলম ও মোবাইল ফোনের জায়গায় সংশোধনী এনে সাদা শাপলা এবং লাল শাপলা দলীয় প্রতীক হিসেবে চাওয়া হয়েছে।
কিন্তু তার আগে ৯ জুলাই নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে জাতীয় প্রতীক ‘শাপলাকে’ ব্যবহার না করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন।
Reporter Name 























