বিশ্বাসের প্রতিধ্বনি নিউজ ডেস্কঃ দেয়ালে পিঠ ঠেকলে নাকি সাহসী পথই বেছে নিতে হয়। এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ দল হাঁটল রক্ষণাত্মক পথে। হারলে বাড়ি, জিতলে বাঁচবে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের আশা; এমন ম্যাচে একজন নিয়মিত বোলার কম নিয়ে নামেন লিটন দাসরা। যার মাশুল গুনে হারতে বসেছিল বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত আফগানদের ৮ রানে হারিয়ে এশিয়া কাপে টিকে থাকল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
মঙ্গলবার আবুধাবিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিং করে ৫ উইকেটে ১৫৪ রান করেছিল বাংলাদেশ। পারভেজ ইমনের জায়গায় একাদশে ঢুকে সাবলীল ব্যাটিং করতে না পারলেও তানজিদ তামিমের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে ৬৩ রান যোগ করেন সাইফ হাসান। ২৮ বলে ৩০ রান করেন তিনি। নতুন বলে শট খেলতে ব্যর্থ হওয়া এই ব্যাটার দুটি চার ও একটি ছক্কা মারেন। পরেই সাজঘরে ফেরা অধিনায়ক লিটন দাস ১১ বলে ৯ রান করেন।
ঝড়ো ব্যাটিংয়ে রান বাড়িয়ে নেওয়া তানজিদ তামিম তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে দলের ১০৪ রানে ফিরে যান। তার ব্যাট থেকে ৩১ বলে ৫২ রান আসে। তিনি চারটি চার ও তিনটি ছক্কা তোলেন। চারে ব্যাট করা তাওহীদ হৃদয় এদিনও প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি। তিনি ২০ বলের মুখোমুখি হয়ে ২৬ রান করেন। একটি করে চার ও ছক্কা মারেন। স্লগে শামীম ১১ বলে ১১ রান করেন। জাকের ১৩ বলে ১২ ও সোহান ৬ বলে ১২ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। রান প্রত্যাশা ১৭০ রানের ওপরে থাকলেও দেড়শ’র পরই আটকে যায় বাংলাদেশ।
লড়াই করার পুঁজি পেলেও শঙ্কার কারণ হয় লিটন দাসদের একজন বোলার কম নিয়ে একাদশ সাজিয়ে পার্ট টাইম স্পিনার সাইফ হাসান ও শামীম পাটোয়ারির অফ স্পিনে ভরসা রাখায়। রশিদ খান ও নুর আহমেদদের দুর্দান্ত বোলিং ওই শঙ্কা আরও প্রকট করে। স্পিনার নাসুম আহমেদ ও রিশাদ আহমেদ এবং পেসার মুস্তাফিজ দুর্দান্ত বোলিং করলেও শঙ্কা সত্যি প্রমাণ করেন সাইফ ও শামীম।
নাসুম যেখানে ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন এবং রিশাদ ৪ ওভারে ১৮ রান খরচায় ২ উইকেট নিয়েছেন, সেখানে সাইফ ৩ ওভারে দিয়েছেন ৩৯ রান। শামীম ১ ওভারে হজম করেছেন ১৬ রান। তাদের ৪ ওভারে ৫৫ রান খেয়ে হারতে বসা দলকে বাঁচিয়েছেন মুস্তাফিজ। তিনি ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন। ১৯তম ওভারে ৫ রান দিয়ে জোড়া শিকার করেছেন। তাসকিন তার ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।
আফগানদের হয়ে সর্বাধিক ৩৫ রান করা ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ৩১ বলে দুটি করে চার ও ছক্কায় ৩৫ রান করেন। তবে ম্যাচ বের করে নিচ্ছিলেন পেস অলরাউন্ডার আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও রশিদ খান। ওমরজাই ১৬ বলে তিন ছক্কা ও এক চারে ৩০ রান করেন। রশিদ খান ১১ বলে ২০ রান তুলে নেন। এছাড়া মোহাম্মদ নবী ১৫ ও গুলবাদিন নাঈব ১৬ রান যোগ করেন। আফগানদের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করা দুই লেগি রশিদ খান ও নুর আহমেদ ৪ ওভারে করে হাত ঘুরিয়ে যথাক্রমে ২৬ ও ২৩ রানে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।
গ্রুপ ‘বি’ তে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা দুটি করে ম্যাচ জিতে ৪ পয়েন্ট তুলেছে। নেট রান রেটে লঙ্কানরা (+১.৫৪৬) অনেক এগিয়ে। গ্রুপের শেষ ম্যাচে আফগানদের (+২.১৫০) মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা। ওই ম্যাচে লঙ্কানরা জিতলেই কেবল সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ। লঙ্কানদের বিপক্ষে রশিদ খানরা জিতলে তিন দলের পয়েন্ট হবে সমান ৪ করে। তবে নেট রেট রানে বাংলাদেশ (-০.২৭০) পিছিয়ে থাকায় বাড়ির পথ ধরতে হবে।
Reporter Name 



















