4:50 am, Wednesday, 12 November 2025

চাকসুতে ভিপি-জিএস শিবিরের, এজিএস ছাত্রদলের

  • Reporter Name
  • Update Time : 09:41:22 am, Thursday, 16 October 2025
  • 28 Time View

বিশ্বাসের প্রতিধ্বনি নিউজ ডেস্কঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ২৬টি পদের মধ্যে ভিপি, জিএস সহ ২৪টি পদে শিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। অন্যদিকে এজিএস সহ ২টি পদে জয়লাভ করেছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) দিবাগত রাত চারটার দিকে ১৪টি হল ও একটি হোস্টেলের অনানুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত ফলাফল থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের ভিপি পদে ইব্রাহিম হোসেন রনি ও জিএস পদে সাঈদ বিন হাবিব নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন ছাত্রদলের প্যানেলের প্রার্থী আইয়ুবুর রহমান তৌফিক।

চাকসুর ১৪টি হলের ফলাফল অনুযায়ী, ভিপি পদে ইব্রাহিম হোসেন রনি ভোট পেয়েছেন ৭ হাজার ২২১টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল মনোনীত ভিপিপ্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৭৪ ভোট।

জিএস পদে সাঈদ বিন হাবিব ভোট পেয়েছেন ৭ হাজার ২৯৫টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল মনোনীত জিএস প্রার্থী শাফায়াত পেয়েছেন ২ হাজার ৭২৪ ভোট।

অন্যদিকে এজিএস পদে আইয়ুবুর রহমান তৌফিক ভোট পেয়েছেন ৬ হাজার ৪৪১টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রশিবির সমর্থিত এজিএস প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন মুন্না পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৫ ভোট।

ভিপি ইব্রাহিম রনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ সেশনের ইতিহাস বিভাগ শিক্ষার্থী, জিএস সাঈদ বিন হাবিব ২০১৯-২০ সেশনের ইতিহাস বিভাগ শিক্ষার্থী এবং এজিএস আইয়ুবুর রহমাব তৌফিক ২১-২২ সেশনের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ বিভাগের শিক্ষার্থী।

চাকসু নির্বাচনে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলেও ফলাফল প্রকাশের আগে বেশ কিছু জায়গায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বুধবার রাত একটার পর দুই হলের ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিনকে অবরুদ্ধ করে রাখে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে অধ্যাপক কামাল মুক্ত হন।

এর আগে দিনভর সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ হলেও ফলাফল প্রকাশের আগে বিভিন্ন জায়গায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেটের বাইরে ছাত্রদলের সমর্থনে বিএনপি ও ছাত্রশিবিরের সমর্থনে জামায়াতের নেতাকর্মীরা আশেপাশে অবস্থান নেন। এ সময় উভয় পক্ষই শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তার পাশে থাকলেও অপ্রীতিকর কোনো ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। রাত একটা পর্যন্ত তাদের অবস্থান করতে দেখা গেছে।

এমন পরিস্থিতিতে রাতেই ক্যাম্পাসে বিজিবি মোতায়েন করা হয়।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যত মামলা আছে তুলে নেওয়া হবেঃ মির্জা ফখরুল

চাকসুতে ভিপি-জিএস শিবিরের, এজিএস ছাত্রদলের

Update Time : 09:41:22 am, Thursday, 16 October 2025

বিশ্বাসের প্রতিধ্বনি নিউজ ডেস্কঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ২৬টি পদের মধ্যে ভিপি, জিএস সহ ২৪টি পদে শিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। অন্যদিকে এজিএস সহ ২টি পদে জয়লাভ করেছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) দিবাগত রাত চারটার দিকে ১৪টি হল ও একটি হোস্টেলের অনানুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত ফলাফল থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের ভিপি পদে ইব্রাহিম হোসেন রনি ও জিএস পদে সাঈদ বিন হাবিব নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন ছাত্রদলের প্যানেলের প্রার্থী আইয়ুবুর রহমান তৌফিক।

চাকসুর ১৪টি হলের ফলাফল অনুযায়ী, ভিপি পদে ইব্রাহিম হোসেন রনি ভোট পেয়েছেন ৭ হাজার ২২১টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল মনোনীত ভিপিপ্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৭৪ ভোট।

জিএস পদে সাঈদ বিন হাবিব ভোট পেয়েছেন ৭ হাজার ২৯৫টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল মনোনীত জিএস প্রার্থী শাফায়াত পেয়েছেন ২ হাজার ৭২৪ ভোট।

অন্যদিকে এজিএস পদে আইয়ুবুর রহমান তৌফিক ভোট পেয়েছেন ৬ হাজার ৪৪১টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রশিবির সমর্থিত এজিএস প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন মুন্না পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৫ ভোট।

ভিপি ইব্রাহিম রনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ সেশনের ইতিহাস বিভাগ শিক্ষার্থী, জিএস সাঈদ বিন হাবিব ২০১৯-২০ সেশনের ইতিহাস বিভাগ শিক্ষার্থী এবং এজিএস আইয়ুবুর রহমাব তৌফিক ২১-২২ সেশনের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ বিভাগের শিক্ষার্থী।

চাকসু নির্বাচনে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলেও ফলাফল প্রকাশের আগে বেশ কিছু জায়গায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বুধবার রাত একটার পর দুই হলের ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিনকে অবরুদ্ধ করে রাখে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে অধ্যাপক কামাল মুক্ত হন।

এর আগে দিনভর সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ হলেও ফলাফল প্রকাশের আগে বিভিন্ন জায়গায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেটের বাইরে ছাত্রদলের সমর্থনে বিএনপি ও ছাত্রশিবিরের সমর্থনে জামায়াতের নেতাকর্মীরা আশেপাশে অবস্থান নেন। এ সময় উভয় পক্ষই শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তার পাশে থাকলেও অপ্রীতিকর কোনো ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। রাত একটা পর্যন্ত তাদের অবস্থান করতে দেখা গেছে।

এমন পরিস্থিতিতে রাতেই ক্যাম্পাসে বিজিবি মোতায়েন করা হয়।