বিশ্বাসের প্রতিধ্বনি নিউজ ডেস্কঃ রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় আবারও অ্যানথ্রাক্স (তড়কা রোগ) আতঙ্ক ফিরে এসেছে। উপজেলার ঠাকুরদাস এলাকায় অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত গরুর মাংস নাড়াচাড়া ও খাওয়ার পর নতুন করে আরও ১০ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, নতুন আক্রান্তদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ জনে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদাসীনতা ও টিকা বাণিজ্যের কারণে সচেতনতা কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। অনেক ক্ষুদ্র খামারি এখনও রোগটি সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণা রাখেন না। আবার অনেকেই বলছেন, সরকারি ৮০ পয়সা মূল্যের টিকা নিতে গুনতে হচ্ছে ৬০ টাকা পর্যন্ত, তবু সময়মতো টিকা পাওয়া যাচ্ছে না।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুজয় সাহা বলেন, “অ্যানথ্রাক্স সাধারণত সংক্রমিত পশুর মাংস বা রক্তের সংস্পর্শে এলে মানুষের শরীরে ছড়ায়। আক্রান্তদের সবাই বর্তমানে চিকিৎসাধীন, এবং তাদের অবস্থা স্থিতিশীল। সংক্রমণ রোধে আক্রান্ত এলাকার চারপাশে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
অন্যদিকে, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আক্রান্ত এলাকার প্রায় পাঁচ হাজার গবাদিপশুর টিকাদান সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আরও ত্রিশ হাজার পশুকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। মাংস বিক্রেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন অসুস্থ বা সন্দেহজনক পশু জবাই না করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন হাট-বাজারে লিফলেট বিতরণ এবং জনসচেতনতা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয় খামারিরা বলছেন, প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে অ্যানথ্রাক্সের প্রকোপ দেখা দেয়। সময়মতো টিকাদান ও সচেতনতা বৃদ্ধি না করা হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমণ ঠেকাতে দ্রুত আক্রান্ত পশু শনাক্তকরণ, টিকাদান, মাংস বিক্রি ও জবাইয়ে কঠোর নজরদারি এবং স্থানীয় পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এখন সবচেয়ে জরুরি।
Reporter Name 






















