4:49 pm, Tuesday, 18 November 2025

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়ি দখলমুক্তকরণে দোকান উচ্ছেদের নির্দেশ

  • Reporter Name
  • Update Time : 08:55:21 am, Wednesday, 24 September 2025
  • 40 Time View

বিশ্বাসের প্রতধ্বনি নিউজ ডেস্কঃ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়ি এলাকায় গড়ে ওঠা দোকান ও বাণিজ্যিক স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন কর্তৃক প্রদত্ত এসব স্থাপনার লাইসেন্স ও অনুমোদন অবিলম্বে বাতিল করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গতকাল পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ কামরুজ্জামান এনডিসি স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে এ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে সরকার কক্সবাজার-টেকনাফ সমুদ্র সৈকতকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ECA) হিসেবে ঘোষণা করে। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এবং ইসিএ ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০১৬ অনুযায়ী এই এলাকায় ক্ষতিকর সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ।

এই এলাকায় বন উজাড়, বন্যপ্রাণি ধরা, ভূমি ও পানির বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন, দূষণকারী শিল্প স্থাপন এবং বালিয়াড়িতে স্থাপনা নির্মাণ আইনত নিষিদ্ধ।এছাড়া, পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া ভূমির শ্রেণি পরিবর্তনও করা যাবে না।

মহামান্য সুপ্রিম কোর্টও ২০১৮ সালের এক রায়ে উল্লেখ করেছেন যে, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ও ইসিএ বিধিমালা অন্য সব আইনের উপরে প্রাধান্য পাবে। তবুও আইন ভঙ্গ করে শত শত দোকান ও বাণিজ্যিক স্থাপনা তৈরি হয়েছে। এসব স্থাপনা সৈকতের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য বড় ধরনের হুমকি তৈরি করেছে। এতে পরিবেশবান্ধব পর্যটনও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস আজ

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়ি দখলমুক্তকরণে দোকান উচ্ছেদের নির্দেশ

Update Time : 08:55:21 am, Wednesday, 24 September 2025

বিশ্বাসের প্রতধ্বনি নিউজ ডেস্কঃ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়ি এলাকায় গড়ে ওঠা দোকান ও বাণিজ্যিক স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন কর্তৃক প্রদত্ত এসব স্থাপনার লাইসেন্স ও অনুমোদন অবিলম্বে বাতিল করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গতকাল পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ কামরুজ্জামান এনডিসি স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে এ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে সরকার কক্সবাজার-টেকনাফ সমুদ্র সৈকতকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ECA) হিসেবে ঘোষণা করে। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এবং ইসিএ ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০১৬ অনুযায়ী এই এলাকায় ক্ষতিকর সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ।

এই এলাকায় বন উজাড়, বন্যপ্রাণি ধরা, ভূমি ও পানির বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন, দূষণকারী শিল্প স্থাপন এবং বালিয়াড়িতে স্থাপনা নির্মাণ আইনত নিষিদ্ধ।এছাড়া, পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া ভূমির শ্রেণি পরিবর্তনও করা যাবে না।

মহামান্য সুপ্রিম কোর্টও ২০১৮ সালের এক রায়ে উল্লেখ করেছেন যে, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ও ইসিএ বিধিমালা অন্য সব আইনের উপরে প্রাধান্য পাবে। তবুও আইন ভঙ্গ করে শত শত দোকান ও বাণিজ্যিক স্থাপনা তৈরি হয়েছে। এসব স্থাপনা সৈকতের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য বড় ধরনের হুমকি তৈরি করেছে। এতে পরিবেশবান্ধব পর্যটনও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।