4:51 pm, Tuesday, 18 November 2025

আব্বার দেয়া শেষ উপদেশমালা

বিশ্বাসের প্রতিধ্বনি নিউজ ডেস্কঃ নিচের উপদেশগুলো আমার ডায়রীতে লিখা ছিল। এগুলো আব্বার শেষ সময়ে আমাকে বলা। অধিকাংশই বিছানায় শুয়ে শুয়ে। রাতে ঘুম হতো না তখন বসে বসে আমি খেদমত করতাম, আব্বা ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে গল্প বলতেন। রাজনীতি, অর্থনীতি সব আলোচনাই হতো। শিল্প-সংস্কৃতি থেকে আধ্যাত্মিকতার তা‘লীম নিতাম বাবার কাছে ছোটবেলা থেকে। সেসব তো লিখে রাখা হয়নি। বাবা আজ জীবনের বেলাশেষে। মনে হলো, আমার জীবনের পাথেয় হিসাবে কিছু কথা লিখে রাখি। আজ আব্বা নেই তার উপদেশগুলো আমার জীবনের পাথেয়…

১. আমি কখনো জীবনের মরীচিকার পেছনে ছুটিনি। বাস্তবতার নিরিখে কাজ করেছি। চারপাশের অনেককে নানান প্রলোভনে জীবনের চাকচিক্যের ধাঁধায় ছুটতে দেখেছি। এই যে জীবনের স্থিরতা এটি আল্লাহর এক খাস অনুগ্রহ। এটার নামই সুখ। তুমি যে অবস্থায় আছো, এর মাঝে ভালো কাজ করে যাওয়া। অযাচিত সুখের পেছনে না দৌড়ানোই জীবনের সফলতা।

২. জীবনে সাবধানতাকে অবলম্বন করবে। চলার সাবধানতা, কথা বলার সাবধানতা, এমনকি ঘুমানোর সময় সাবধানতা। ঘুমের সাবধানতা হলো, বিছানা ঝেড়ে ঘুমানো। বাকি সতর্কতার পরও যে মসিবত আসবে তা হলো পরীক্ষা, যা নবীদের উপরেও আসতো। তখন সবর করবে। এর বদলা আল্লাহ দিবেন। ঘুমের আগে বড় সাবধানতা হলো, দুআ ও আমল করে ঘুমানো। আসল সাবধানতা হলো তওবা-ইস্তেগফার করে ঘুমানো। দুনিয়াতে সবচেয়ে রিস্কি কাজ হলো তওবা ও মানুষকে ক্ষমা না করে ঘুমানো। হতে পারে, এটি তোমার জীবনের শেষ ঘুম।

৩. জীবনে খাওয়া-পড়া এটি বড় বিষয় নয়। বড় বিষয় হলো, নিজের জিহবা, হাত-পা, গুপ্তস্থানের হেফাজত ও আমানত রক্ষা করা। নিজের যৌবনকে গোনাহ থেকে বাঁচানো। খাহেশাত পরিহার করা।

৪. আমি যে সমাজে বেড়ে উঠেছি, এই সমাজ আমার কর্মের পরিধিকে খুব একটি বুঝতো না। তারা মনে করতো, এসব অযথা কাজে আমি সময় ব্যয় করি। সম্পদ আয় না করে সাহিত্য আর জ্ঞানের পেছনে দৌড়াই। কিন্তু আমি তোমাকে বলবো, এই পথই অবলম্বন করবা। শিখতে শিখতে মারা গেলে শাহাদতের মৃত্যু হবে। মৃত্যুর পরও তুমি অমর হবে। এটি জ্ঞানের পুরস্কার। ইলমের উপহার। ইলম তার বাহককে বাঁচিয়ে রাখে।

৫. আমি জীবনে কখনো কুরআন-সুন্নাহর পথ থেকে বিচ্যুত হইনি। এর জন্য অনেক কষ্ট বরদাশত করে হলেও আল্লাহর হুকুমের বাহিরে কাজ করিনি। আমার সন্তান হিসাবে তুমিও সে পথটি বেছে নিও। আর তুমি এ পথটিতে পাবে একমাত্র উভয় জাহানের নিরাপত্তা।

৬. আমি চলে যাব। শুধু একটি প্রত্যাশা তোমার কাছে। তুমি জেনে-বুঝে এমন কিছু করবে না যার ফলে আমি লজ্জিত হই। মানুষ চোখে আঙ্গুল তুলে বলে, অমুকের সন্তান এভাবে চলে। আবার মানুষের কথায় হক ও আদর্শকে ছেড়ে দিও না। তুমি কোন বিষয়কে সত্য মনে করলে এই আদর্শের উপর অবিচল থাকবে, যদি তাতে মৃত্যুও চলে আসে।

৭. তুমি যদি সুখী মানুষ হতে চাও আর আত্মাকে সুখী করতে চাও তাহলে আল্লাহর প্রতি গভীর প্রেম ও রাসূলের প্রতি গভীর ভালোবাসাকে জীবনের মূলমন্ত্র বানাবে। তখন শত দুঃখের মাঝেও কুরআন আর সীরাতে রাসূল [সা.] তোমাকে পথ দেখাবে।

৮. তুমি নিজের জীবনে যদি ৪টি জিনিসকে সঙ্গী করে নাও তাহলে কখনো একাকিত্ব আর মানসিক কষ্ট ও পেরেশানীতে ভুগবে না। জীবনে কোন কষ্টকে আর কষ্ট মনে হবে না।
১. নামাজ ও দীর্ঘ সেজদা;
২. কুরআন পাক তেলাওয়াত;
৪. আল্লাহর জিকির;
৪. পড়ালেখা
(উল্লেখ্য, আব্বার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এই চারটি আমল বাস্তবেই তার চিরসঙ্গী ছিল। এতো বেশি তাসবিহাত আদায় করতেন যা এই জামানায় বিরল।)

৯. তুমি একটি কাজ কখনো করবে না। তা হলো, মানুষের উপর অপবাদ দেয়া। এটা থেকে বাঁচার উপায় হলো, তাহকীক বা যাচাই না করে কোন কথা না বলা। কারণ অপবাদ এমন এক পাপ যার শাস্তি দুনিয়াতেও হয়। এই শাস্তি পাওয়ার আগে মৃত্যু হয় না।

১০. কখনো শিরিক করিও না। শিরিক সবচেয়ে বড় গোনাহ। আমরা আল্লাহর জাতের সাথে যেমন শিরিক করবো না, তার সিফাতের সাথেও কাউকে শরিক করবো না। এটি অনেক সতর্কতার বিষয়।

১১. দুনিয়ার মোহের পেছনে তুমি ছুটবে না; কাজ করতে থাকবে। দুনিয়া যা আসার এমনি চলে আসবে। এটা যেন চিন্তায় থাকে, চলে যাওয়ার পর পরর্বতী প্রজন্মের জন্য কী রেখে যাচ্ছ আর সদকাযে জারিয়া হিসাবে সাথে করে কী নিয়ে যাচ্ছ।

১২. আমি আমার সাহিত্যকর্মকে যেমন সম্পদ মনে করি, তোমাকেও আমার রেখে যাওয়া শ্রেষ্ঠ সম্পদ মনে করি। আমি বিশ্বস করি, আমার মৃত্যুর পরও তোমার নেক কাজের সওয়াব আমি কবরে বসে পাবো। তোমার কর্মের মাধ্যমে আমি স্মৃতি হয়ে থাকবো পরবর্তী প্রজন্মের কাছে।

১৩. তোমার সন্তানদেরকে মানুষ করার চেষ্টা করবে। এভাবে করবে, যাতে তাদের প্রজন্ম কেয়ামত পর্যন্ত খান্দানের মধ্যে দ্বীন বাকি থাকে। তারা যেন পূর্বপুরুষের ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারক-বাহক হয়। বাবা-দাদার পথ অনুসরণ করে চলে। খান্দানকে হেফাজতের জন্য শর্ত হলো, খান্দানের পরবর্তী প্রজন্ম কোন গর্ভে জন্ম নিবে। কাদের কোলে বেড়ে ওঠবে। মনে রেখো, তোমাদের স্ত্রীগণ কেবল একজন গৃহিনী নয়, তারা তোমাদের খান্দান ও বংশধারার রক্ষক। এটি সবসময় মাথায় রাখবে।

১৪. আমি জীবনের দুঃখ-কষ্ট পেলে কুরআন থেকে সমাধান নিয়েছি। তুমি জান, আমি প্রতিমাসে এক বা একাধিক কুরআন খতম করি। আমার মৃত্যুর পর আমার কুরআন যেন বদদু‘আ না দেয়। তুমি কুরআনেরর তেলাওয়াত জারি রাখবে। কুরআনের সাথে সুগভীর সম্পর্ক বজায় রাখবে।

১৫. আমার মৃত্যুর পরম মাইকিং করবে না। খেলাফে সুন্নাহ কোন কাজ করবে না। লাশ দাফন থেকে কবর পর্যন্ত সব যেন হয় সুন্নত অনুসরণের মাধ্যমে। আমি আজীবন সুন্নতের অনুসরণ করেছি, এটি যেন মৃত্যুর পরও ব্যত্যয় না হয়।

বিঃ দ্রঃ ধারাবাহিক লেখা, বাকিটা আসবে… চোখ রাখুন প্রতি বৃহস্পতিবার

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস আজ

আব্বার দেয়া শেষ উপদেশমালা

Update Time : 09:18:59 am, Thursday, 9 October 2025

বিশ্বাসের প্রতিধ্বনি নিউজ ডেস্কঃ নিচের উপদেশগুলো আমার ডায়রীতে লিখা ছিল। এগুলো আব্বার শেষ সময়ে আমাকে বলা। অধিকাংশই বিছানায় শুয়ে শুয়ে। রাতে ঘুম হতো না তখন বসে বসে আমি খেদমত করতাম, আব্বা ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে গল্প বলতেন। রাজনীতি, অর্থনীতি সব আলোচনাই হতো। শিল্প-সংস্কৃতি থেকে আধ্যাত্মিকতার তা‘লীম নিতাম বাবার কাছে ছোটবেলা থেকে। সেসব তো লিখে রাখা হয়নি। বাবা আজ জীবনের বেলাশেষে। মনে হলো, আমার জীবনের পাথেয় হিসাবে কিছু কথা লিখে রাখি। আজ আব্বা নেই তার উপদেশগুলো আমার জীবনের পাথেয়…

১. আমি কখনো জীবনের মরীচিকার পেছনে ছুটিনি। বাস্তবতার নিরিখে কাজ করেছি। চারপাশের অনেককে নানান প্রলোভনে জীবনের চাকচিক্যের ধাঁধায় ছুটতে দেখেছি। এই যে জীবনের স্থিরতা এটি আল্লাহর এক খাস অনুগ্রহ। এটার নামই সুখ। তুমি যে অবস্থায় আছো, এর মাঝে ভালো কাজ করে যাওয়া। অযাচিত সুখের পেছনে না দৌড়ানোই জীবনের সফলতা।

২. জীবনে সাবধানতাকে অবলম্বন করবে। চলার সাবধানতা, কথা বলার সাবধানতা, এমনকি ঘুমানোর সময় সাবধানতা। ঘুমের সাবধানতা হলো, বিছানা ঝেড়ে ঘুমানো। বাকি সতর্কতার পরও যে মসিবত আসবে তা হলো পরীক্ষা, যা নবীদের উপরেও আসতো। তখন সবর করবে। এর বদলা আল্লাহ দিবেন। ঘুমের আগে বড় সাবধানতা হলো, দুআ ও আমল করে ঘুমানো। আসল সাবধানতা হলো তওবা-ইস্তেগফার করে ঘুমানো। দুনিয়াতে সবচেয়ে রিস্কি কাজ হলো তওবা ও মানুষকে ক্ষমা না করে ঘুমানো। হতে পারে, এটি তোমার জীবনের শেষ ঘুম।

৩. জীবনে খাওয়া-পড়া এটি বড় বিষয় নয়। বড় বিষয় হলো, নিজের জিহবা, হাত-পা, গুপ্তস্থানের হেফাজত ও আমানত রক্ষা করা। নিজের যৌবনকে গোনাহ থেকে বাঁচানো। খাহেশাত পরিহার করা।

৪. আমি যে সমাজে বেড়ে উঠেছি, এই সমাজ আমার কর্মের পরিধিকে খুব একটি বুঝতো না। তারা মনে করতো, এসব অযথা কাজে আমি সময় ব্যয় করি। সম্পদ আয় না করে সাহিত্য আর জ্ঞানের পেছনে দৌড়াই। কিন্তু আমি তোমাকে বলবো, এই পথই অবলম্বন করবা। শিখতে শিখতে মারা গেলে শাহাদতের মৃত্যু হবে। মৃত্যুর পরও তুমি অমর হবে। এটি জ্ঞানের পুরস্কার। ইলমের উপহার। ইলম তার বাহককে বাঁচিয়ে রাখে।

৫. আমি জীবনে কখনো কুরআন-সুন্নাহর পথ থেকে বিচ্যুত হইনি। এর জন্য অনেক কষ্ট বরদাশত করে হলেও আল্লাহর হুকুমের বাহিরে কাজ করিনি। আমার সন্তান হিসাবে তুমিও সে পথটি বেছে নিও। আর তুমি এ পথটিতে পাবে একমাত্র উভয় জাহানের নিরাপত্তা।

৬. আমি চলে যাব। শুধু একটি প্রত্যাশা তোমার কাছে। তুমি জেনে-বুঝে এমন কিছু করবে না যার ফলে আমি লজ্জিত হই। মানুষ চোখে আঙ্গুল তুলে বলে, অমুকের সন্তান এভাবে চলে। আবার মানুষের কথায় হক ও আদর্শকে ছেড়ে দিও না। তুমি কোন বিষয়কে সত্য মনে করলে এই আদর্শের উপর অবিচল থাকবে, যদি তাতে মৃত্যুও চলে আসে।

৭. তুমি যদি সুখী মানুষ হতে চাও আর আত্মাকে সুখী করতে চাও তাহলে আল্লাহর প্রতি গভীর প্রেম ও রাসূলের প্রতি গভীর ভালোবাসাকে জীবনের মূলমন্ত্র বানাবে। তখন শত দুঃখের মাঝেও কুরআন আর সীরাতে রাসূল [সা.] তোমাকে পথ দেখাবে।

৮. তুমি নিজের জীবনে যদি ৪টি জিনিসকে সঙ্গী করে নাও তাহলে কখনো একাকিত্ব আর মানসিক কষ্ট ও পেরেশানীতে ভুগবে না। জীবনে কোন কষ্টকে আর কষ্ট মনে হবে না।
১. নামাজ ও দীর্ঘ সেজদা;
২. কুরআন পাক তেলাওয়াত;
৪. আল্লাহর জিকির;
৪. পড়ালেখা
(উল্লেখ্য, আব্বার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এই চারটি আমল বাস্তবেই তার চিরসঙ্গী ছিল। এতো বেশি তাসবিহাত আদায় করতেন যা এই জামানায় বিরল।)

৯. তুমি একটি কাজ কখনো করবে না। তা হলো, মানুষের উপর অপবাদ দেয়া। এটা থেকে বাঁচার উপায় হলো, তাহকীক বা যাচাই না করে কোন কথা না বলা। কারণ অপবাদ এমন এক পাপ যার শাস্তি দুনিয়াতেও হয়। এই শাস্তি পাওয়ার আগে মৃত্যু হয় না।

১০. কখনো শিরিক করিও না। শিরিক সবচেয়ে বড় গোনাহ। আমরা আল্লাহর জাতের সাথে যেমন শিরিক করবো না, তার সিফাতের সাথেও কাউকে শরিক করবো না। এটি অনেক সতর্কতার বিষয়।

১১. দুনিয়ার মোহের পেছনে তুমি ছুটবে না; কাজ করতে থাকবে। দুনিয়া যা আসার এমনি চলে আসবে। এটা যেন চিন্তায় থাকে, চলে যাওয়ার পর পরর্বতী প্রজন্মের জন্য কী রেখে যাচ্ছ আর সদকাযে জারিয়া হিসাবে সাথে করে কী নিয়ে যাচ্ছ।

১২. আমি আমার সাহিত্যকর্মকে যেমন সম্পদ মনে করি, তোমাকেও আমার রেখে যাওয়া শ্রেষ্ঠ সম্পদ মনে করি। আমি বিশ্বস করি, আমার মৃত্যুর পরও তোমার নেক কাজের সওয়াব আমি কবরে বসে পাবো। তোমার কর্মের মাধ্যমে আমি স্মৃতি হয়ে থাকবো পরবর্তী প্রজন্মের কাছে।

১৩. তোমার সন্তানদেরকে মানুষ করার চেষ্টা করবে। এভাবে করবে, যাতে তাদের প্রজন্ম কেয়ামত পর্যন্ত খান্দানের মধ্যে দ্বীন বাকি থাকে। তারা যেন পূর্বপুরুষের ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারক-বাহক হয়। বাবা-দাদার পথ অনুসরণ করে চলে। খান্দানকে হেফাজতের জন্য শর্ত হলো, খান্দানের পরবর্তী প্রজন্ম কোন গর্ভে জন্ম নিবে। কাদের কোলে বেড়ে ওঠবে। মনে রেখো, তোমাদের স্ত্রীগণ কেবল একজন গৃহিনী নয়, তারা তোমাদের খান্দান ও বংশধারার রক্ষক। এটি সবসময় মাথায় রাখবে।

১৪. আমি জীবনের দুঃখ-কষ্ট পেলে কুরআন থেকে সমাধান নিয়েছি। তুমি জান, আমি প্রতিমাসে এক বা একাধিক কুরআন খতম করি। আমার মৃত্যুর পর আমার কুরআন যেন বদদু‘আ না দেয়। তুমি কুরআনেরর তেলাওয়াত জারি রাখবে। কুরআনের সাথে সুগভীর সম্পর্ক বজায় রাখবে।

১৫. আমার মৃত্যুর পরম মাইকিং করবে না। খেলাফে সুন্নাহ কোন কাজ করবে না। লাশ দাফন থেকে কবর পর্যন্ত সব যেন হয় সুন্নত অনুসরণের মাধ্যমে। আমি আজীবন সুন্নতের অনুসরণ করেছি, এটি যেন মৃত্যুর পরও ব্যত্যয় না হয়।

বিঃ দ্রঃ ধারাবাহিক লেখা, বাকিটা আসবে… চোখ রাখুন প্রতি বৃহস্পতিবার